ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) জিয়া পরিষদের (কর্মকর্তা ইউনিট) উদ্যোগে শহিদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি করিডোরে তারা এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের সভাপতি মো. আলাউদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও প্রধান আলোচক ছিলেন জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আজ থেকে ৪৪ বছর আগে জিয়াউর রহমান তার দেশের জন্যই জীবন দিয়েছিলেন। আমরা উনাকে বেশি বেশি মনে করব। কারন উনি হলেন আমাদের আত্মপরিচয়ের বাহক। তিনিই সংবিধান সংশোধন করেছিলেন দেখে আজ আমরা পরিচয় দিতে পারি যে আমরা বাঙালী, আমরা মুসলিম, আমাদের আল্লাহর উপর বিশ্বাস এবং আস্থা রয়েছে।

অর্থ্যাৎ জিয়াউর রহমান আমাদের বিশ্বাসের পরিচয় আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই কারনেই উনার প্রতিষ্ঠিত দলটি গঠনের ১ বছরের মধ্যেই এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তিনি তো এমন নেতা যিনি খাল কাটা কর্মসূচির সময় মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এরপরে তিনি যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন মানুষের সামগ্রিক কল্যানের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতেন।

আমি দেখেছি তিনি খাল কাটা কর্মসূচিতে কোদাল দিয়ে মাটি কেটেছেন এবং তার গায়ে কাদা মেখেছে। দেশকে কীভাবে ঢেলে সাজাতে হয় সেটা তিনি তার ১৯ দফার মাধ্যমে করে দেখিয়েছিলেন। কীভাবে লিডারশীপ এর মাধ্যমে দেশকে এক স্থান থেকে উচ্চতর স্থানে নিয়ে যাওয়া যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো জিয়াউর রহমান।