শহীদ আবরার প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি : স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, পিটিয়ে আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা প্রমান করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি কতটা অসুস্থ। ভিন্নমতের মানুষরা কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাজনীতিতে নৃশংসতা, বর্বরতা, হানাহানি সমাজ-রাষ্ট্রকে অসুস্থ করে তুলছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যার ২য় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অসুস্থ ছাত্ররাজনীতি শিক্ষাঙ্গনকে গ্রাস করে ফেলেছে। ছাত্ররাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্ম হচ্ছে। ভিন্নমতের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। দেশের মানুষ হানাহানির ছাত্ররাজনীতি আর দেখতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মুক্তচিন্তার চর্চা হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে রাজনীতির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরিণত হয়েছেন প্রতিপক্ষ দমনের পেটোয়া বাহিনীতে। শুধু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই নন, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাঁদের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যার সাহস কেউ পেত না।

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে শহীদ আবরারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ মুুভমেন্ট যুগ্ম মহাসচিব নবাব সালেহ আহমেদ, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশনের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শুভ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, শহীদ আবরার হত্যার বিচার করতে হলে সকল দুঃশাসনের অবসান ঘটনাতে হবে, দেশে কায়েম হবে সুশাসন। এ জন্য দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আবরার ফাহাদ দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্থ রক্ষার কথা বলতে গিয়ে দেশবিরোধী শক্তির আঘাতে শহীদ হয়েছেন। দেশে এখন আর ন্যায়বিচার নেই বলে আবরার হত্যার বিচার হচ্ছে না।