শান্তি আলোচনায় তাকিয়ে গোটা বিশ্ব

রাশিয়ার ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইউক্রেনের পাঠানো প্রতিনিধিরা ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলের প্রিপিয়াত নদীর কাছে শান্তি আলোচনায় বসেছেন।

রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের মাঝে শেষ পর্যন্ত এই শান্তি আলোচনা কোথায় গিয়ে ঠেকবে সে বিষয়ে আগাম ধারণা করা কঠিন।তবে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে এই আলোচনার দিকে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি জোনাহ হুল পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভ শহরে রয়েছেন। জোনাহ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার আগে মস্কো তাদের মূল দাবিগুলো থেকে সরে আসবে কি-না সে বিষয়ে মস্কো কোনো ধরনের ইঙ্গিত দেয়নি।

তিনি বলেন, মস্কোর দাবির মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা ও দেশের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চলকে কিয়েভের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া।

যদিও রোববার এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি এই আলোচনা থেকে তেমন কোনো অগ্রগতি আশা করেন না। তবে তিনি বলেছেন, ছোট হলেও এই সুযোগ তাদের ব্যবহার করা উচিত, যাতে কেউ ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা না করার জন্য দোষারোপ করতে না পারে।

শান্তি আলোচনায় কিয়েভের প্রতিনিধি দলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকজি রেজনিকোভ, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক, ক্ষমতাসীন সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টির প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলে তোচিৎস্কি এবং অন্যান্যরা রয়েছেন।

এদিকে রাশিয়ার আক্রমণের পঞ্চম দিনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ আহ্বান জানানোর পাশাপাশি রুশ সেনা প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, আলোচনায় তাদের প্রধান ইস্যু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে রুশ ‘আগ্রাসন’ শুরুর পর থেকে এই কয়েক দিনে অন্তত ৩ লাখ ৬৮ হাজার ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে।