শান্তি নিকেতনে হাসিনা-মোদির অনুষ্ঠানে থাকছেন মমতাও

২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। তবে মমতার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনও বৈঠক হবে না শেখ হাসিনার।

দুই দেশের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও মোদি উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে ভাষণও দেবেন।

একই দিনে শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের পর বৈঠকে বসবেন হাসিনা ও মোদি। এ সময় দুজনের মধ্যে একান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মোদির সঙ্গে বৈঠক হলেও দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত তিস্তা ইস্যুতে তেমন কোনও সুখবর আসার সম্ভাবনা কম। কারণ দুই দিন কলকাতায় থাকলেও হাসিনা-মমতা বৈঠকের কোনোও সূচি রাখা হয়নি।

নয়া দিল্লির কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, তিস্তা ইস্যু নিয়ে হাসিনা-মমতার মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে না। এছাড়া দুই দেশই কোনও ধরনের জটিলতা আসে এমন বৈঠক আয়োজন করতে চায়নি।

তবে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক না হলেও মমতার সঙ্গে দুই বার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শেখ হাসিনার।

২৫ মে সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় ফিরে রাজভবনেই রাত্রিযাপন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। সেখানেই তার সম্মানে নৈশভোজ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও আমন্ত্রিত।

পরদিন আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনেও শেখ হাসিনা ও মমতার একই মঞ্চে থাকার কথা রয়েছে।

বিশ্বভারতীর দেওয়া দুই বিঘা জমির ওপর বাংলাদেশ সরকার ২৫ কোটি রুপি খরচ করে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ ভবন। যেখানে থাকছে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নানা তথ্য, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, চিত্রপ্রদর্শনীর গ্যালারি ইত্যাদি।