শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণির পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষকতাকে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যাতে দেশের সর্বোত্তম মেধাবীরা এ পেশায় আসতে উৎসাহী হন। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা, যারা শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শিক্ষকরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক বানান- ওই শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পান না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নতুন বাংলাদেশে এবার শিক্ষকরা পূর্ণ মর্যাদা পাবেন। সমাজে তাদের গুরুত্ব বাড়বে। আমরা তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লার দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর ও সহকারী শিক্ষক জামাল মোহাম্মদ কবিরের বিদায় অনুষ্ঠানে হাসনাত আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

এর আগে বিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও স্কাউট দলের সমন্বয়ে ২ শিক্ষককে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়, পরে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছাসহ নানান উপহার প্রদান করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক অলিউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী শিক্ষক মিতা বেগম, আজিজুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. আতিকুর রহমান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক মো. সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন সাগর, মো. তমিজ উদ্দিন, ডা. মো. আল আমিন, বর্তমান শিক্ষার্থী তাছিম তৌকি আরিফ, তাবাচ্ছুম মিনহা প্রমুখ।

বিদায়ী দুই শিক্ষক তাদের ৩৩ বছরের শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষার্জনের তাগিদসহ মোবাইল আসক্ত, মাদক, ইভটিজিং বর্জনসহ নানা উপদেশমূলক বক্তব্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের গাড়ির সঙ্গে হেঁটে প্রিয় শিক্ষকদের বাড়ি পৌঁছে দেন।