শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন মঠবাড়িয়ার গুনী শিক্ষক অপরানন্দ কির্ত্তুনীয়া
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী সগীর মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন স্বজ্জন গুনী শিক্ষক মি. অপরানন্দ কির্ত্তুনীয়া। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে তিনি সাপলেজা মডেল হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) হিসেবে এবং সোনাখালী মুন্সী আঃ কাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অপরানন্দ কির্ত্তুনীয়া ১৯৮৩ সালে বিএ পাস করেন। এরপর ১৯৮৪ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। দায়িত্ববোধ, সততা, আন্তরিকতা এবং ছাত্র – ছাত্রীদের প্রতি নির্মোহ স্নেহ – ভালবাসা নিয়ে দায়িত্ব পালন করে ৬০ বছর বয়সে চলতি বছরের ২ মার্চ তিনি অবসর গ্রহন করেন। এরপর ১৬ মার্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এবং শিক্ষকবৃন্দ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসা সফল এ শিক্ষক গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কবুতরখালী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম অনিল কির্ত্তুনীয়া এবং মাতার নাম পুষ্প রানী।পারিবারিক জীবনে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখী আছেন তিনি।স্ত্রী কল্পনা রানী ১১৫ নং দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।মেয়ে অর্পিতা (শান্তা) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।আর ছেলে অলক কির্ত্তুনীয়া (সৌরভ) রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নরত।
শিক্ষকতা জীবনে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন প্রেতবৎ ছায়ার মত। অভিভাবক ও সহকর্মীদের সাথে তৈরি করেছিলেন আত্মিক মেলবন্ধন। কুসংস্কার ও অশুভকে প্রশ্রয় দেননি কোনদিন। তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আজ দেশে বিদেশে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করায় “আমাদের অপরানন্দ স্যার” কথাটি এতদঞ্চলে একটি আপ্তবাক্যে পরিনত হয়েছে।অবসর জীবন যাতে ভাল কাটে সেজন্য সকলের নিকট আশির্বাদ ও দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন