শিক্ষার্থীরা কাঁদলেন এবং কাঁদালেন
গোপালগঞ্জ : ‘গুরুজনে কর নতি’ এই শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার প্রায় ৩শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পিতা-মাতার পা ধুয়ে দেয়।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক সঙ্গে গুরুজনদের এ পা ধোয়া বিশেষ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান রামশীল ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিতা-মাতার প্রতি ভক্তিপূর্ণ এ বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জয়দেব বালাসহ শিক্ষক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এস এম মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদের পিতা-মাতার চরণ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয়। পিতা-মাতারা তখন সন্তানদের মাথায় হাত রেখে আর্শিবাদ করেন। তখন সন্তান ও পিতা-মাতারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন। উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কেঁদে ফেলেন।
শিক্ষার্থীরা মা-বাবার পা ধুয়ে তাদের গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। এসময় সেখানে আবেগঘন পরিস্তিতি তৈরি হয়।
অপরদিকে রামশীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পিতা-মাতার পা ধুয়ে ফুলের মালা গুরুজনদের গলায় পড়িয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ধরণের অনুষ্ঠানে পিতা-মাতা ও গুরুজনদের প্রতি সন্তান এবং শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ভক্তি বৃদ্ধি পাবে। আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের অনুষ্ঠান বেশী বেশী করা প্রয়োজন।
রামশীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল কুমার সরকার বলেন, আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে এই প্রথম এ ধরণের অনুষ্ঠান দেখলাম। আগামী প্রজন্মের কাছে এই অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, এ ধরণের ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান করায় আমি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন