শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ করতে হবে

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ করে আগামী প্রজন্ম বাঁচাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এজন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে’- বলেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, এমপি (খুলনা-৬)।
৩১ জানুয়ারি ঢাকার ন্যাম ভবনে তার নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, এমপি এ কথা বলেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী, প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনি ও অদূত রহমান ইমন। প্রতিনিধি দল এমপি মহোদয়কে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এসময় মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, এমপি প্রতিনিধি দলকে বলেন, একজন সংসদ সদস্য কেবল একটি আসনের প্রতিনিধিত্বই করেন না, তিনি জাতীয় ইস্যু নিয়েও কথা বলেন। সেজন্য আমার যেহেতু সুযোগ রয়েছে, তাই আমিও জাতীয় সংসদে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে কথা বলবো। কারণ আমরা সকলেই জানি যে কোন মাদকের শুরুটাই হয় ধূমপান থেকে। তাই ধূমপানকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাদককের ব্যবহারকেও কমিয়ে আনা যাবে। বর্তমান সরকার মাদককের বিষয়ে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছে। উপরন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে ও কাজ করতে হবে।
প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কীত প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন ও তামাক কর বাড়িয়ে তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের পক্ষে মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, এমপির সমর্থন চান। মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, এমপি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।