শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
কোভিড-১৯ মহামারীর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কয়েক দফায় তারিখ ঘোষণা করেও খোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভর করেছে হতাশা। কবে খুলছে ক্যাম্পাস এই প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
সংক্রমণের মাঝে শিক্ষার্থীদের করোনা থেকে সুরক্ষায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। টিকা দেওয়া শেষ হলে অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে পাঠদান চালু আছে, ভবিষ্যতে অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতিকে আরও উন্নত করতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রসায়ন বিভাগের আয়োজনে ‘জাতি গঠনে শিক্ষার ভূমিকা: বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ১২ দিনের মাথায় টেলিভিশনে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। অনলাইন ক্লাস অস্বীকার করার সুযোগ নেই। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমেও গুরুত্ব দিতে হবে। যেটি আমাদের শুরু করতে আরও কয়েক বছর লেগে যেত, করোনার কারণে তা আমরা এখনই শুরু করে ফেলেছি।
কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল তৈরি হচ্ছে। এগুলো থেকে প্রদত্ত ডিগ্রির সার্টিফিকেট গুলো সমমানের প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগাতে পারে সে চেষ্টা চলছে। আইসিটি স্কিল, ভাষার শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি ভাষা এখন টুল হয়ে গেছে। কমিউনিকেশন স্কিল, কোলাবোরেশান স্কিল, ক্রিটিকাল থিংকিং স্কিলগুলো অর্জন করা প্রয়োজন।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন