‘শিগগিরই আসছি’ : বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হামলার হুঁশিয়ারি
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ ও ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলো জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
টাইমস অব ইন্ডিয়া শনিবার খবর দিয়েছে, আইএস নতুন যে বার্তা প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হামলার পরিকল্পনার ইঙ্গিত রয়েছে।
আইএস সমর্থক একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বাংলা ভাষায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘শিগগির আসছি, ইনশাআল্লাহ’ শিরোনামে পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়।
ভারতের একটি গোয়েন্দা সূত্র ভারতীয় পত্রিকাটিকে পোস্টারের কথা নিশ্চিত করেছে এবং তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া আইএসের পোস্টারটি প্রকাশ করেনি।
পোস্টারে মুরসালাত নামে একটি সংগঠনের লগো রয়েছে, যেটিকে আইএসের শাখা সংগঠন বলা হয়।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর গির্জা ও অভিজাত হোটেলে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর গোয়েন্দা সংস্থা পোস্টারটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
স্থানীয় উগ্রপন্থী ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের (এনটিজে) মাধ্যমে গত ২১ এপ্রিল কলম্বোর অন্তত ৮টি স্থানে এই হামলায় চালায় আইএস। হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ বিদেশিসহ ২৫৯ নিহত ও ৫ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের আট বছর বয়সী নাতি জায়ান চৌধুরীও রয়েছে।
ভারতীয় পত্রিকাটির দাবি, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আইএসের শক্ত অবস্থান দেখা গেছে। স্থানীয় জামায়েতুল মুজাহেদিনের (জেএমবি) সঙ্গে কেন্দ্রীয় আইএসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সদস্য নিয়োগের জন্য কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রায়ই জেএমবিকে তৎপর হতে দেখা গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাবুঘাট এলাকায় আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্য গ্রেফতার হন। আরিফুল ২০১৮ সালের বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের অন্যতম।
‘এই বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে জেএমবির গ্রেফতার ব্যক্তিরা ভারতের আসামের চিরাঙ জেলায় স্থাপিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা স্বীকার করে’, জানান এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গত বছরের জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেফতার আইএস-জেএমবির সদস্য মোহাম্মদ মুসিরউদ্দিন একেএম মুসার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে।
মুসিরউদ্দিন দীর্ঘদিন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ত্রিপুরা জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেফতারের পরে জানা যায়, জেএমবি নেতা আমজাদ শেখের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ২০১৪ সালে বর্ধমান বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর তিন বছর আগে স্থানীয় জেএমবির স্লিপার সেলও একই রকম একটি পোস্টার প্রকাশ করে, যাতে যুবকদের সংগঠনটিতে যোগ দেয়ার আহ্বান ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন