শিবগঞ্জে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে
বগুড়ার শিবগঞ্জে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এবিএম মাসুদ রানা মাছুম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবৈধ ড্যামি এমপি প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) বিউটি বেগম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, সাবেক শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক এবং ড্যামি উপজেলা নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বিপুলের (তালা মার্কা) ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত সৈকতের একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সৈকত ঐ ভিডিও বার্তায় বিএনপি ও শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম যে ভাবে বলছে তাতে মনে হয় তার মত কঠিন বিএনপি শিবগঞ্জে আর কেউ নাই। বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে সৈতক বিএনপি’র কোন আন্দোলনে রাজপথে ছিল না এবং দলীয় কোন পদপদবী ও কোন কর্মসূচিতে আছে তার কোন প্রমানও নাই।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিউটি, মানিক, রিজু, বিপুলের হালুয়া রুটি খাওয়া এবং তাদের (পিএস) এর দ্বায়িত্ব পালন করা ছিল সৈকতের প্রধান কাজ। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে কৌশলে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাসী সৈকত, বিপুল এবং তাদের সহযোগী খোকন, জেমি বিগত একযুগ ধরে উপজেলা পরিষদের সকল অকাম, বদকাম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত তার ছবি ও প্রমাণ আছে। বিউটি, বিপুল, সৈকতগংদের মত আওয়ামীলীগের হালুয়া রুটি খাওয়া এই সব টাউট, বাটপার স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর টিকটিকির মত রং বদলে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করে বিএনপি’র ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ও শিবগঞ্জের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বটে। শিবগঞ্জে কারা বিএনপি করে, কারা লড়াই সংগ্রামে রাজপথে ছিলো এবং কারা গায়েবী মিথ্যা মামলা খেয়েছে তা বিএনপি’র ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষসহ শিবগঞ্জ উপজেলা জনসাধারন অবগত আছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলা করার জন্য তারা বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও এডিট করে প্রচার করে শিবগঞ্জের বিএনপি’র ভাবমূর্তীক্ষর্ণ করতে তারা উঠেপরে লেগেছে।এই সকল মিথ্যা এডিট ভিডিও প্রকাশ করা থেকে বিরত না থাকলে তাদেরকে সাংগঠনিকভাবে প্রতিহত করা হবে এবং কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাদের কুটকৌশল থেকে সাবধান থাকার জন্য সকলকে আহবান জানাচ্ছি। তাদের নামে মমলা হলেও তারা প্রকাশ্যে শিবগঞ্জে চলাফেরা করছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেতারের জন্য আমরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি খালিদ হাসান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ যোবায়ের, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রনি প্রমূখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন