শিবির সন্দেহে রাবি শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ
ইয়াজিম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে শিবির সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবিতে পুলিশে দেন বিভাগের শিক্ষকরা।
আটক শিক্ষার্থীর নাম আল-আমীন। তিনি ওই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বগুড়ার শাহজাহানপুরে। সে ছাত্র-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে এবং বিভিন্ন নাশকতার মামলায় পুলিশ তাকে দুইবার গেপ্তার করেছিল বলে দাবি ছাত্রলীগের।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রথমবর্ষের চার শিক্ষার্থীকে অমানবিক র্যাগিং দেয়ার ঘটনায় আল-আমীনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।
র্যাগিংয়ের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি অঙ্গিকারনামা লিখিত নেয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকালে লিখে নেয়া সেই অঙ্গীকারনামায় লেখা ছিল- ‘আমরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগের বড় ভাই ও আপুদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছি। তাই তারা আমাকে শাসন করেছে। তারা আমাদেরকে কোনো রকম র্যাগিং করেননি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে পেরে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে ওই বিভাগে খোঁজ-খবর নেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ ঘেরাও করে। সেখানে তারা আল-আমীনকে পুলিশে সোপর্দসহ বহিষ্কারের দাবি জানান। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় আল-আমীনকে পুলিশে সোপর্দ করেন বিভাগের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু জানান, ‘আল-আমীনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। শিবির করার জন্য এর আগে বগুড়ায় পুলিশ তাকে দুইবার গ্রেপ্তার করেছিল। এছাড়াও বিভাগের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ে জড়িত ছিলো বলে আমরা জানতে পেরেছিলাম। তাই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে পুলিশে তুলে দিয়েছি। আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত কমিটি করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে র্যাগিংয়ের সঙ্গে আল-আমীনসহ দ্বিতীয় বর্ষের যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, ‘আটককৃত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিবির করার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া আমরা জেনেছি র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাকে নগরীর মতিহার থানা পুলিশে দেয়া হয়েছে। তারা এখন ব্যবস্থা নিবেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, আল- আমীনকে শিবির সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্বে তার কোনো মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে তার বিরুদ্ধে কি ধরনের মামলা আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন