শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ১১ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল


মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১১ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টায় শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ফেরি ছেড়ে যায়। গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এ তথ্য জানায়।
গতকাল সকাল থেকেই ছোট ও হালকা গাড়ি পারাপার করছে ফেরিগুলো। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ গাড়িই দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার। গতকাল রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় অনেক গাড়ি অপেক্ষায় আছে পারাপারের জন্য।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালিদ নিয়াজ জানান, বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি গতকাল রাত ৮টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে। লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নাব্যতা সংকট নিরসনের জন্য চ্যানেলের মুখে বালু অপসারণের (খনন) কাজ চলে। আজ সকাল ৭টার দিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ফেরি ছেড়ে যায়। সারা রাত ফেরি চলাচল না করায় ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই নৌরুটে কে-টাইপ, মাঝারি ও রো রো ফেরিসহ ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। বর্তমানে ঘাট এলাকায় সাত শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে। রো রো ফেরিকে মাঝিকান্দী পালের চর রুটে অতিরিক্ত ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পথ পাড়ি দিয়ে কাঁঠালবাড়ী যেতে হবে। লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট হয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে কে-টাইপ, মাঝারি আকৃতির ফেরি চলাচল করবে। তবে রো রো ফেরি লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে চলাচল করতে পারলে দ্রুত যানবাহন পারাপার করতে পারত।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন