শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের ঢল
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি সঙ্কটে ঈদে ঘরমুখো বিড়ম্বনা চরমে। যানবাহনগুলো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এ অপেক্ষার লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। বাস-ট্রাকসহ ভারি যান পারাপার বন্ধ থাকলেও চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম অবস্থা। এদিকে এ রুটের ফেরি বহরে যুক্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টা না যেতেই ফেরি বেগম রোকেয়া আবার বিকল হয়ে যায়। এখন মাত্র ৭ ফেরি দিয়ে চলছে পারাপার।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। রোজার মধ্যে প্রচন্ড গরমে ঘাট ব্যবহারকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছে।
গাড়ির লাইনের বাইরে ফেরির পন্টুন ঘিরে মোটরসাইকেলের এমন ভিড়। চারিদিকে হিমশিম অবস্থা। করোনায় দুই বছর পর এবারের ঈদে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা ফেরি বৃদ্ধিসহ ঘাটের সুব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন।
ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, এ বছর ফেরির সংখ্যা কম। ঈদের ২-৩ দিন আগে মানুষের ঢল নামবে। তাই ভোগান্তি এড়াতে আগে ভাগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এবং আজকে (বুধবার) থেকে লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসি টার্মিনাল সুপার এইচ এম ইয়াদুল ইসলাম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে পার করতে বিআইডব্লিউটিসি সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। যেহেতু সবাই ঈদে বাড়ি যাবে, তাই চাপ একটু বেশি। আমরা চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
গত ১৮ আগস্ট থেকে এখানে ফেরি চলাচলে তৈরি হয় অচলাবস্থা। ৮ নভেম্বর হতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার দিনের বেলায় এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতুকে এড়িয়ে শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি নৌপথে সীমিত ফেরি চলাচল শুরু হয়। এদিকে ৮ মাস পরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আর মাঝিরকান্দিতে দ্বিতীয় ঘাট বুধবার থেকে সচল হওয়ায় ফেরিগুলো গতি পেয়েছে। তবে ১৮ থেকে ২১টির স্থলে ফেরি চলছে এখন ৭টি। শিমুলিয়া থেকে শুধু যাত্রী পারাপার করছে ৮৭ লঞ্চ ও ১৫৩টি স্পিডবোট। সূত্র : বাসস
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন