শিশুকে কত বছর মায়ের দুধ পান করানো উচিত?
একজন মা যার একটা পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে এবং দুই বছর বয়সী ছেলে রয়েছে তারা একই সঙ্গে মায়ের দুধ পান করছে।
এমা শার্ডলো হাডসন বলেন, এটা তার সন্তানদের শরীরের জন্য ভালো। কারণ তার সন্তান খুব কম অসুস্থ হয়।
২৭ বছর বয়সী এই মা বলেন, তিনি বিষয়টা ভালোভাবে নিচ্ছেন কারণ বুকের দুধে এন্টিবডি রয়েছে যেটি শিশুর শরীরের জন্য ভালো। যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যতদিন মা এবং শিশু দুজনই চাইবে ততদিন দুধ পান করানো উচিত।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেয়নি ঠিক কোন সময়ে দুধ পান করানো বন্ধ করতে হবে। শিশুর জন্য প্রথম ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ পান করানোর জন্য বিশেষভাবে বলা হয়। এরপর ছয় বছর দুধের সঙ্গে অন্য শক্ত খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।
শিশুর জন্য বুকের দুধ শ্রেষ্ঠ খাবার
বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে বুকের দুধ পান করানো মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যে কোন ধরনের ইনফেকশন, ডাইরিয়া এবং বমিভাব বন্ধ করার ক্ষেত্রে মায়ের দুধ ভালো রক্ষাকবচের কাজ করে। পরবর্তী জীবনে স্থূলতাসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আর মায়ের জন্য স্তন এবং ওভারির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কিন্তু কত দিন?
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনামা নেই। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘যতদিন আপনার ভালো লাগবে ততদিন আপনি আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।’ আরো বলা হয়েছে, ‘দুই বা তার চেয়ে বেশি বছর ধরে বুকের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি এ সময় অন্যান্য খাবার দেওয়া উচিত।’
ক্ষতিকর কিছু নেই
এর অনেক ভালো দিক থাকলেও একজন মা সিদ্ধান্ত নেন কখন বন্ধ করতে হবে। এটার সঙ্গে মায়ের পরিবেশ, পরিস্থিতি জড়িত। অনেক সময় মায়েদের কাজে ফিরতে হয়, পরিবার বা বন্ধুদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া অস্বস্তি কাটানোর জন্য আত্মবিশ্বাসের দরকার পড়ে। এর মাধ্যমে মা এবং শিশুর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
চিকিৎসকরা বলছেন এটি একেবারেই একটি ব্যক্তিগত বিষয়। এটি মা-শিশুর সম্পর্ককে গড়ে তোলে আর এতে কোনো ক্ষতি নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন