শীতে-ক্ষুধায় কাতরাচ্ছেন শিক্ষকরা
এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের আমরণ অনশন চলছে ষষ্ঠ দিনের মতো। শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না হলে এখানেই আত্মহুতী দেবেন তারা, তবুও খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাবে না। তবে হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
প্রচণ্ড শীতের রাতেও তাদেরকে সেখানো অবস্থান করতে দেখা গেছে। শীত আর ক্ষুধার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে তাদের চোখে-মুখে।
গত ছয় দিনে মোট ১১৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। স্যালাইন নিয়েও অনেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান চাইছেন।
আন্দোলন করতে এসে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
আন্দোলনের সার্বিক দিক নিয়ে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ সাড়া না পাওয়ায় আমরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। এমপিওভুক্তির কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
নেত্রকোণার চন্দ্রনাথ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও নিজ সন্তানদের স্কুলে পড়াতে পারছেন না। এ আমরণ অনশনে দেশ ও জাতি লজ্জায় পড়েছে। সরকারের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা।
শিক্ষকদের আন্দোলনে এরইমধ্যে সংহতি জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা এর আগেও আন্দোলন করেছি। আমাদেরকে বিভিন্ন আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, কিন্তু সে আশ্বাস আজও পূরণ হয়নি। এবার আর কোনো আশ্বাস নয়, আমাদের এমপিও না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন করব।’
শিক্ষকদের এ নেতা বলেন, ‘আর কতদিন এভাবে থাকা যায়? থাকার কষ্ট, খাওয়ার কষ্টের জন্যই আন্দোলনে নেমেছি। আন্দোলনেও কষ্ট। কিন্তু আমাদের কথা সরকার এখনও বিবেচনা করলো না। শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। সরকারের কাছে দাবি জানাবো শিক্ষকদের দাবি দ্রুত পুরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিন। অন্যথায় এখানে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন