শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিণী

চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে বলা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিণী। পুরো নাম আরিফা পারভিন জাহান মৌসুমী। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল নায়িকাদের একজন তিনি। যার শোকেজে সাজানো তিনটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’, তিনটি ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ এবং তিনটি ‘বাচসাস পুরস্কার’। বহু প্রতিভাধর এই নায়িকার জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিণী।

জীবনের ৪৩টি বসন্ত ইতিমধ্যেই পার করে ফেলেছেন মৌসুমী। আজ পা দিয়েছেন ৪৪ বছরে। ১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন নায়িকা। বাবা নাজমুজ্জামান মনি এবং মা শামীমা আখতার জামান দম্পতির বড় মেয়ে তিনি। ছোট বোন ইরিন জামানও চলচ্চিত্রের মানুষ। দাম্পত্য জীবনে তিনি চিত্রনায়ক ওমর সানীর স্ত্রীর। ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন এবং মেয়ে আইজাকে নিয়ে তাদের ২১ বছরের সংসার।

যেভাবে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন মৌসুমী

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর তিনি ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। যার উপর ভিত্তি করে ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিকধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুযোগ পান। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন মিষ্টি চেহারার এ নায়িকা। ওই ছবিতে তার নায়ক ছিলেন প্রয়াত সালমান শাহ। দুজনেরই এটি ছিল অভিষেক ছবি। প্রথম ছবিতেই নজর কাড়েন মৌসুমী।

এর পর শুধু ছুটেই চলেছেন। কখনোই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিনয় জীবনে দুর্দিনও খুব একটা আসেনি। ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ৮০টির মতো ছবিতে। যার অধিকাংশই ব্যবসাসফল। মৌসুমী অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘দোলা’, ‘মৌসুমী’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিদ্রোহী বধূ’, ‘আত্মত্যাগ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘গরীবের রানী’, ‘লুটতরাজ’, ‘লাট সাহেবের মেয়ে’, ‘আম্মাজান’, ‘কষ্ট’, ‘খায়রুন সুন্দরী’, ‘মেঘলা আকাশ, ‘দেবদাস’ এবং ‘তারকাঁটা’ উল্লেখ্যযোগ্য।

গত ২০ অক্টোবর মুক্তি পায় মৌসুমী অভিনীত নতুন ছবি ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন খলনায়ক থেকে নায়ক বনে যাওয়া মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ছবিতে ডিপজলের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা গেছে মৌসুমীকে।