শুল্ক কমালো চার পণ্যে সরকার
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমিয়েছে সরকার।
এই চার পণ্যে শুল্ক-কর ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা পৃথক চারটি আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ জানুয়ারি চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের শুল্ক-কর কমানোর নির্দেশ দেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেনো এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়।
ওইদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সমন্বয়ের ভিত্তিতে এটির ওপর কাজ করতে বলেছেন। বৈঠকেও তিনি মন্ত্রীদের কাছ থেকে সর্বশেষ অবস্থা জেনেছেন, মন্ত্রীরা কী কী কাজ করেছেন সেটি জানিয়েছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
সরকার টিকে আছে বিদেশি প্রভুদের অনুগ্রহে: রিজভীসরকার টিকে আছে বিদেশি প্রভুদের অনুগ্রহে: রিজভী বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার পর শুল্ক বিভাগ এসব পণ্যে কতটুকু শুল্ক কমলে কত রাজস্ব ক্ষতি হবে ইত্যাদি হিসাব করেছে। শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি তা চূড়ান্ত করে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
নতুন প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত-অপরিশোধিত প্রতিটন চিনিতে আমদানিতে শুল্ক দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি), ৩ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) এবং ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) রয়েছে। আর পরিশোধিত চিনিতে বর্তমানে ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ, এটি ৫ শতাংশ এবং আরডি রয়েছে ৩০ শতাংশ।
ভোজ্যতেলের ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়। ভোজ্যতেল আমদানির ওপর বর্তমানে ভ্যাট ১৫ শতাংশ ছিল, নতুন প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যৌক্তিক মূল্যে বাজারে কৃষি পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। ভোক্তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বাজারে কখনো যাতে পণ্যের সংকট না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা যে মাঝে মাঝে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমদানি-রপ্তানি করতাম, এবার বাজার মনিটরিং করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে দেবো অফ-সিজন থেকে পিক-সিজনে কী পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। এতে ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।
ভারতের সঙ্গে পেঁয়াজ ও চিনি নিয়ে একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। এখন তা কেটে গেছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করার কথা জানিয়েছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবেন।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ: হাছান মাহমুদসংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ: হাছান মাহমুদ পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র্যাব ফোর্সেস অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন