শৃঙ্খলা ফেরানোর আশায় ফের আসছে ঢাকা নগর পরিবহন

ঢাকার বিভিন্ন রুটের সব বাস চলবে কোম্পানির আওতায়। নির্ধারিত স্টপেজে হবে যাত্রী ওঠানামা, বাসের কাঠামোতে হবে পরিবর্তন, ভাড়া আদায় হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর আশা নিয়ে নতুন করে কোম্পানির আওতায় বাস চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিকভাবে ছয়টি রুটে বাস চালানোর আশা করছে ডিটিসিএ।

সমন্বয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকার সবগুলো পরিবহনের বাস চলবে ৪২টি রুটে। একটি রুটে বাস পরিচালনা করবে একটি কোম্পানি। ৪২টি রুটকে গোলাপি, নীল, লাল, কমলা, সবুজ, বেগুনি, নর্থ, নর্থ ওয়েস্ট ও সাউথ- এই নয়টি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে।

ছয়টি গুচ্ছের বাস চলবে ঢাকা মহানগরে, তিনটি শহরতলী রুটে। প্রতিটি গুচ্ছে চলাচলকারী বাসের আলাদা রং হবে, একটি গুচ্ছে একাধিক রুট থাকছে।

ঢাকা নগর পরিবহনের রুটে কোম্পানির অধীনে বাস চালাতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আবেদন চাওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আড়াইশ আবেদন জমা হয়েছে, যাদের সম্মিলিত বাসের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি।

২০১৬ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ফ্রাঞ্চাইজের আওতায় বাস পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটির কাছে রাজধানীতে নয়টি ক্লাস্টারের মাধ্যমে ২২টি কোম্পানির ৪২টি পথে বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের প্রস্তাব দেন বিশেষজ্ঞরা। নয়টি ভিন্ন রংয়ের বাস চালানোর প্রস্তাব সে সময় দিয়েছিল কমিটি।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাচপুর পর্যন্ত চালু হয় নগর পরিবহন। এরপর আরও কয়েকটি রুটে চলে নগর পরিবহনের বাস। এরপর আরও দুটি রুটে বাস চালু হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

শৃঙ্খলা আনতে যে পরিকল্পনা : ডিটিসিএ বলছে, ঢাকার শহরের গণপরিবহন পরিচিত হবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে।

এছাড়া শহরের বাইরের সঙ্গে সংযোগকারী পরিবহনের নাম হবে ‘শহরতলী পরিবহন’। ৪২টি রুটের মধ্যে ৩৪টিতে নগর পরিবহনের বাস চলবে, আটটি রুটে চলবে শহরতলীর বাস।

বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম বলেছেন, কোম্পানির অধীনে চালাতে হলে বাসের কাঠামোসহ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হবে।

বর্তমানে বাসগুলোয় যেসব দরজা আছে সেগুলো পরিবর্তন হবে, বসানো হবে স্বয়ংক্রিয় দরজা। বাসে সহজে ওঠানামা করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। বাসের চালক ও হেলপার নিয়োগ করবে কোম্পানি। এছাড়া প্রতিটি বাসে, বাস স্টপেজেও ক্যামেরা বসানো হবে।

বর্তমানের বাসগুলোয় যাত্রীদের ওঠানামা করতে সমস্যা হয়। বাসের দরজা আধুনিক করা হবে যেন সহজেই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারেন। নির্ধারিত স্থান থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানো বাধ্যতামূলক করা হবে। এটা যেন মেনে চলা হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। এই কাজগুলো আমরা ধীরে ধীরে করব। শুরুতে পারা যাবে না।

ডিটিসিএ বলছে, গণপরিবহনের ভাড়া আদায়ে শৃঙ্খলা আনতে র‌্যাপিড পাসের প্রচলন করা হচ্ছে। শুরুতে ই-টিকেটের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করা হবে। এজন্য বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে এরই মধ্যে ১২০টি পিওএস মেশিন কেনা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, জানুয়ারি মাস থেকেই গুলশান চাকা, ঢাকা চাকা, হাতিরঝিল ওয়াটার ট্যাক্সি, হাতিরঝিল সার্কুলার বাস সার্ভিস এবং ঢাকা নগর পরিবহনের একটি রুটে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করা হবে। পর্যায়ক্রমে র‌্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করা যাবে।

র‌্যাপিড পাসের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া আদায়ের পদ্ধতিও আমরা ধীরে ধীরে চালু করব। বাসের চালক ও হেলপারের নিয়োগ কোম্পানি থেকে হবে, তারা ভাড়া আদায় করবে না। গাড়িতে উঠে মেশিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া পরিশোধ করবে যাত্রীরা।

অগ্রগতি কতদূর : বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন প্রকল্প থেকে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর বাস মালিক সমিতির সঙ্গে সভা করেছে ডিটিসিএ। ২ ডিসেম্বর হয়েছে বাস পরিচালনায় আগ্রহী ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। কোম্পানিগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে ১২ সদস্যের কমিটি হয়েছে। কমিটি গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম সভা করেছে।

প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, বাস পরিচালনায় আগ্রহীদের কাছ থেকে পাওয়া আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। যেসব রুটে বাস চালাতে বেশি কোম্পানি আবেদন করেছে, আলোচনার জন্য সেসব কোম্পানিকে আগে ডাকা হচ্ছে।

শুরুতে আমরা গ্রিন ক্লাস্টার নিয়ে বসেছি। মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়েরও নির্দেশনা আছে সবুজ ক্লাস্টারগুলো আগে দেখতে। সেখানে আটটা রুটে প্রায় ৪০টি আবেদন এসেছে। তাদের আমরা বলেছি তারা যেন একসঙ্গে আসে। আমরা শুরুতে অন্তত ছয়টা রুট চালু করতে চাই।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, আবেদনকারীদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন, ঢাকায় বাস পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। যাদের বাস পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে, বহরে বাস আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দুটি কোম্পানি এক রুটে চালাতে চাইলে জয়েন্ট ভেঞ্চার করে আসতে হবে। এক রুটে এক কোম্পানির বাস চলবে, প্রতিযোগিতা থাকবে না।

হঠাৎ করে কোম্পানি খুলে বসেছেন এমন কাউকে অনুমতি দেব না। এখন যারা চালাচ্ছে তাদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আমরা প্রতিটি আবেদন বাছাই করছি। তাদের বাস থেকে শুরু করে বাসের ডিপো পর্যন্ত সবকিছুই আমরা দেখব। বাস পরিচালনা করতে হলে কোম্পানি করতে হবে, ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি পাওয়া যাবে না।

মালিকদের আগ্রহ কেমন : ঢাকার নগর পরিবহনে সবার আগে ঘাটারচর থেকে ডেমরা পর্যন্ত বাস পরিচালনা করেছিল ট্রান্সসিলভা বিডি নামে একটি কোম্পানি। যদিও গত বছর তারা বাস উঠিয়ে নেয়।

কোম্পানির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, নগর পরিবহনে বাস চালাতে প্রথমবার উদ্যোগ নেওয়ার সময় বাস মালিকরা তাতে যোগ দিতে তেমন আগ্রহী ছিলেন না।

এখন মালিকদের আগ্রহ ভালো। আমরা চাই শহরে পরিবহনে শৃঙ্খলা আসুক। কিন্তু কিছু বিষয় আমাদের হাতে নেই, সেগুলো সমাধান করতে হবে। অবকাঠামোগত কিছু বিষয় ঠিক করতে হবে।

রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাস দায়ী নয়। রাস্তায় হকার বসে, ফুটপাত বেদখল, নানা ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলে। এদের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে।

যে বাস চালাচ্ছে তার লাইসেন্স আছে, কিন্তু রিকশাচালকের তো নাই। তারা সড়কের শৃঙ্খলা জানে না, মানেও না। হাজার হাজার রিকশা ঢাকার রাস্তায় চলে আসে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডিটিসিএ আশ্বাস দিয়েছে ফ্যাসিলিটিগুলো দেবে। আমি বিশ্বাস করি এগুলো করা হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

কোন গুচ্ছে কোন রুট

যেসব রুটে চলবে নগর পরিববহন

পিংক (গোলাপি) গুচ্ছ

রুট ১- আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আব্জমপুর, রাজলক্ষ্মী জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, কুড়িল, শেওড়া, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, মহাখালী, নাবিস্কো, সাতরাস্তা, মগবাজার, মালিবাগ মোড়, মৌচাক, রাজারবাগ, পীরজঙ্গি মাজার, কমলাপুর।

রুট ২- আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, কুড়িল, শেওড়া, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, কাকলী/বনানী, মহাখালী, জাহাঙ্গীরগেট, বিজয় সরনি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, পল্টন, দৈনিক বাংলা, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, টিকাটুলি, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন রেলগেট, পোস্তগোলা, ইকুরিয়া।

রুট ৩- আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, কুড়িল, বসুন্ধরা, নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, কাকরাইল, রাজমনি, বিজয়নগর, পল্টন, জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, গোলাপশাহ মাজার, ফুলবাড়ীয়া, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, জিঞ্জিরা, কদমতলী, চুনকুটিয়া, কেরানীগঞ্জ।

রুট ৪- টঙ্গী/কামারপাড়া, ধউর, বিরুলিয়া ব্রিজ, ইস্টার্ন হাউজিং, প্রিয়াঙ্গন গেট, মিরপুর মাজার রোড, গাবতলী, বসিলা, রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, বাবু বাজার, জিজিরা, কদমতলী, চুনকুটিয়া, কেরানীগঞ্জ, ইকুরিয়া।

নীল গুচ্ছ

রুট ৫- আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, কুড়িল, নতুনবাজার, বাড্ডা লিংক রোড, গুলশান ১, মহাখালী, মগবাজার, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বকশী বাজার।

রুট ৬- আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, কুড়িল, শেওড়া, কাকলী/বনানী, মহাখালী, বিজয় সরনি, মানিক মিয়া এভিনিউ, সোবাহানবাগ, সায়েন্সল্যাব, আজিমপুর।

রুট ৭- আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, কুড়িল, এমইএস, ইসিবি চত্বর, কালশী, মিরপুর ১০, মিরপুর ১, টেকনিক্যাল, গাবতলী, হেমায়েতপুর।

রুট ৮- গাবতলী, টেকনিক্যাল, দারুস সালাম, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শিশু মেলা, আগারগাঁও, বিজয় সরনি, মহাখালী, বনানী, শেওড়া, কুড়িল, খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট, জসীমউদ্দীন, রাজলক্ষ্মী, আজমপুর, হাউজবিল্ডিং, আব্দুল্লাহপুর।

লাল গুচ্ছ

রুট-৯- হেমায়েতপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, খামার বাড়ী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বাংলামোটর, মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও রেলগেট, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, নটরডেম কলেজ, মতিঝিল, টিকাটুলি, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, সাইন বোর্ড, কাঁচপুর।

রুট ১০- হেমায়েতপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদগেট, খামারবাড়ী, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন, জিপিও, গুলিস্তান, মতিঝিল, পীরজঙ্গী মাজার, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর।

রুট ১১- হেমায়েতপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদগেট, কলাবাগান, নিউ মার্কেট, আজিমপুর, শিক্ষা বোর্ড, বকশীবাজার, চানখাঁরপুল, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, সাইন বোর্ড, নারায়ণগঞ্জ (চাষাড়া)।

রুট ১২- হেমায়েতপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যানপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, পল্টন, জিপিও, গোলাপশাহ মাজার, নয়াবাজার, রায় সাহেব বাজার, সদরঘাট।

রুট ১৩- হেমায়েতপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান-১, বাড্ডা লিংক রোড, রামপুরা, মেরাদিয়া বাজার, স্টাফ কোয়ার্টার।

কমলা গুচ্ছ

রুট ১৪- মিরপুর চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদ গেট, সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট, আজিমপুর, শিক্ষা বোর্ড, বকশীবাজার, চানখাঁরপুল, ফুলবাড়ীয়া, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, কেরানীগঞ্জ, ঝিলমিল।

রুট ১৫- মিরপুর ১২, মিরপুর ১০,শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গোলাপশাহ মাজার, তাঁতীবাজার, নয়াবাজার, সদরঘাট।

রুট ১৬- মিরপুর ১৪, মিরপুর ১০, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, খামারবাড়ী, ফার্মগেট, বাংলা মোটর, মগবাজার, মৌচাক, কমলাপুর, আরামবাগ, শাপলা চত্বর, দয়াগঞ্জ, পোস্তগোলা, ঝিলমিল।

রুট ১৭- গাবতলী,মিরপুর ১, কালশী, কুড়িল, নতুন বাজার, বেরাইদ, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রী, স্টাফ কোয়ার্টার।

রুট ১৮- মিরপুর ১২, মিরপুর ১০, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান, শাপলা চত্বর, কমলাপুর, টিটিপাড়া, বাসাবো, খিলগাঁও তালতলা।

রুট ১৯- মিরপুর চিড়িয়াখানা, মিরপুর ১, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদ গেট, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান, শাপলা চত্বর, কমলাপুর, টিটিপাড়া, বাসাবো, খিলগাঁও তালতলা।

রুট ২০- ইসিবি চত্বর, কালশী, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, আগারগাঁও, মানিক মিয়া এভিনিউ, সোবহানবাগ, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট,ঢাকেশ্বরী মন্দির।

সবুজ গুচ্ছ

রুট ২১- ঘাটারচর, বসিলা, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড,শঙ্কর, ঝিগাতলা, সাইন্স ল্যাব, কাঁটাবন, শাহবাগ, মৎস ভবন, কাকরাইল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, শাপলা চত্বর, হানিফ ফ্লাইওভার, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর।

রুট ২২- ঘাটারচর, বসিলা, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, আসাদগেট, মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্থান, হানিফ ফ্লাইওভার, মৃধাবাড়ী, কোনাপাড়া, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, সুলতানা কামাল সেতু।

রুট ২৩- ঘাটারচর, বসিলা, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, আসাদগেট, সাইন্স ল্যাব, শাহবাগ, পল্টন, শাপলা চত্বর, কমলাপুর, টিটিপাড়া, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ড, চট্টগ্রাম রোড, কাঁচপুর।

রুট ২৪- ঘাটারচর, বসিলা, জাপান গার্ডেন সিটি, শ্যামলী, শিশুমেলা, আগারগাঁও, তালতলা, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, কালশী, জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, জসীমউদ্দীন মোড়, রাজলক্ষী মোড়, আজমপুর, হাউজবিল্ডিং, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ২৫- ঘাটারচর, বসিলা, টাউনহল, আসাদগেট, মানিকমিয়া এভিনিউ, মনিপুরি পাড়া, বিজয় সরণি, মহাখালী, সৈনিক ক্লাব, কাকলী, কুড়িল, এয়ারপোর্ট, জসীমউদ্দিন, রাজলক্ষ্মী, আজমপুর, হাউজ বিল্ডিং, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ২৬- ঘাটারচর, বসিলা, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, টাউনহল, আসাদগেট, সোবহানবাগ, কলাবাগান, সাইন্স ল্যাব, কাটাবন, শাহবাগ, মৎস্য ভবন কাকরাইল, ফকিরাপুল, বাংলাদেশ ব্যাংক, আরামবাগ, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক, টিকাটুলি, দয়াগঞ্জ, জুরাইন রেলগেট, পোস্তগোলা, পাগলা।

রুট ২৭- ঘাটারচর, বসিলা, শিয়া মসজিদ, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরনি, মহাখালী, গুলশান ১, রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রী, মেরাদিয়া, স্টাফ কোয়ার্টার।

রুট ২৮- ঘাটারচর, মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, জিগাতলা, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, মৌচাক, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও ফ্লাইওভার, কমলাপুর স্টেডিয়াম, যাত্রাবাড়ী, স্টাফ কোয়ার্টার

বেগুনি গুচ্ছ

রুট ২৯- কাঁচপুর, যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজার, কুড়িল, এয়ারপোর্ট, জসিমউদ্দিন, রাজলক্ষ্মী,আজমপুর, হাউজ বিল্ডিং, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ৩০- ডেমরা ঘাট, কোনাপাড়া, মৃধাবাড়ি, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, ফকিরাপুল, মগবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, শেওড়া, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ৩১- কাঁচপুর, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, ফার্মগেট, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০, ভাসানটেক।

রুট ৩২- ডেমরা ঘাট, কোনাপাড়া, মৃধাবাড়ী, সায়েদাবাদ, জয় কালী মন্দির, ইত্তেফাক, শাপলা চত্বর, শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১, মিরপুর চিড়িয়াখানা।

রুট ৩৩- মাজার রোড, মিরপুর ১, মিরপুর ১০, পল্লবী, কালশী, কুড়িল, এয়ারপোর্ট, রাজলক্ষ্মী, আজমপুর, হাউজবিল্ডিং, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ৩৪- সাইনবোর্ড/যাত্রাবাড়ী/সায়েদাবাদ/মতিঝিল/গুলিস্তান, আজিমপুর, শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান, আসাদ গেট, শ্যামলী, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১- দিয়াবাড়ি বটতলা/ মিরপুর চিড়িয়াখানা/ মিরপুর ১২/ মিরপুর পল্লবীভ।

নর্থ গুচ্ছ

রুট ৩৫- শেরপুর,কাপাসিয়া, টোক, মৌচাক, কোনাবাড়ী, গাজীপুর চৌরাস্তা, চেরাগআলী, টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ৩৬- ঘোড়াশাল, কালীগঞ্জ, মীরের বাজার, টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ৩৭- কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, নন্দনপার্ক, ইপিজেড, বাইপাইল, ফ্যান্টাসি কিংডম, আশুলিয়া, ধউর, আব্দুল্লাহপুর।

রুট ৩৮- নন্দন পার্ক, ইপিজেড, বাইপাইল, ফ্যান্টাসি কিংডম, আশুলিয়া, ধউর, বেড়িবাঁধ, মাজার রোড, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪।

রুট ৩৯- চন্দ্রা, নন্দনপার্ক, ইপিজেড, বাইপাইল, নবীনগর, সাভার, হেমায়েতপুর।

রুট ৪০- পাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, কালামপুর, ধামরাই, নবীনগর, সাভার, হেমায়েতপুর।

সাউথ গুচ্ছ

রুট ৪১- ঝিলমিল, রুহিতপুর, নবাবগঞ্জ, দোহার, বান্দুরা, হরিরামপুর।

রুট ৪২- ঝিলমিল, রাজেন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, কুচিয়ামোড়া, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া চৌরাস্তা, লৌহজং