শেখ হাসিনার নামে হচ্ছে নতুন সেনানিবাস
পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদীর তীরে নতুন আরেকটি সেনানিবাস করতে যাচ্ছে সরকার। পায়রা নদীর তীর ঘেঁষে ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা চরের এক হাজার ৫৩২ একর ভূমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হবে এই সেনানিবাস।
প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই যোগান দেওয়া হবে সরকারের তহবিল থেকে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনাটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠছে বলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
একনেক সভায় তোলার জন্য প্রস্তুতকৃত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, সরকারঘোষিত ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় আন্তর্জাতিকমানের সেনাবাহিনী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে- সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলকে জতীয় প্রতিরক্ষাব্যুহে সন্নিহিত করার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা প্রদান এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে একটি সক্ষম, সুপ্রশিক্ষিত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর কলেবর বৃদ্ধি।
বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়টি ডিভিশন এবং তিনটি সেনানিবাস রয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীতে সেনানিবাস নেই। জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে এ অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায়ই এ অঞ্চলটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়; তখন ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে যশোর সেনানিবাসে অবস্থিত ৫৫ পদাতিক ডিভিশনকে এ অঞ্চলের ২১টি জেলার প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আওতায় পটুয়াখালী জেলার লেবুখালীর পায়রা নদীর তীর ঘেঁষে সেনানিবাস স্থাপনের প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবিত সেনানিবাসটি স্থাপনে ২০১৪ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি মিলেছে বলে কার্যপত্রে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সেনানিবাস স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে ৫৬৭ একর জমি রাজস্ব বাজেটের আওতায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তবে নির্ধারিত স্থানটি ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে জেগে উঠা চর হওয়ায় সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো বসতি গড়ে উঠেনি। ফলে জমি অধিগ্রহণে বাড়িঘর কিংবা কোনো স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন করতে হবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্পটি সেনা সদর, কিউএমজির শাখা, এমঅ্যান্ডকিউ পরিদপ্তর এবং সেনা সদর, ইঞ্জিনিয়ার চিফ শাখা এবং পূর্ত পরিদপ্তর ঢাকা সেনানিবাস বাস্তবায়ন করবে।
একনেকের অনুমোদন পেলে এ বছর থেকে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে আগামী ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন