শেখ হাসিনার সরকারকে অচল করে দেয়ার ক্ষমতা কারোই নাই: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অচল করে দেয়ার ক্ষমতা কারোই নাই। বিএনপি নেতা নিজেরাই অচল হয়ে এসি রুমে বসে শব্দ বোমা ফোটায়, তাদের দিবাস্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কারণেই জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছেন। এদেশের জনগণ একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জনধিকৃত বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যেখানে তাদের দলের নেতৃত্বই ঠিক নাই। সেখানে তারা কিভাবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেয়ার দিবাস্বপ্ন দেখে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী শরীয়তপুর-২ নির্বাচনী এলাকার সখিপুর থানার সখিপুর, চরসেনসাস, আরশিনগর, চরকুমারিয়া ও ডিএমখালী ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের অগ্রগতি এবং দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সাথে গনসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা আসার দিন শেষ। বিএনপিকে এদেশের মানু আর চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মেধা, যোগ্যতা, সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সারাবিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে। জননেত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি আগামীকাল ১৯ বারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে বিরল রেকর্ড স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্যতার বিশ্বনেতাদের কাছেও তিনি অনুকরণীয় ও অনুসরনীয়।
উপমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। একারণেই বাংলাদেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করবে। আর বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কথা মানুষ ভোলে নি। তাদের নির্যাতনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল শুরু করে জাতীয় নেতারাও রেহাই পায়নি। আর ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।
আর ক্ষমতায় যেতে না পেরে আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে। সেই বিএনপিতো আর জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নাই। তাই তারা পেছনের দরজা খুঁজছে। তাদের দিবাস্বপ্ন নসাৎ করে দিয়ে এদেশের জনগণ আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে। কারণ, এদেশের জনগণ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী।
শামীম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনো দিন এদেশে আসবে না। সুতরাং ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই যেতে হবে। আর জনগণের ভোটেই হতে হবে।
এসময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার।
জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ তকি, থানার সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বালা, মুজাম্মেল হক মোল্যা, কামরুজ্জামান মানিক সরদার, শাহজালাল মাল, নুরুল আমীন দেওয়ান, মহসিন হক আবু বেপারী, আলম সরদার, থানা যুবলীগের আহবায়ক খালেক খালাসী, যুগ্ম রাসেল আহমেদ পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম বেপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি সোমেল সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইমরান প্রমূখ। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন