শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে আজ বাস্তবে রুপ দিচ্ছে : এমপি গোলাপ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। হত্যা করা হয় তাঁর সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল সহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তারা তখন তাঁর স্বামীর সাথে জার্মানীতে থাকায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বাঁচিয়েছে। ঘাতকদের এমন নির্মম হত্যা কাণ্ডের কাহিনীর কথা বললেন গোলাপ।

তিনি মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সীর সহধর্মিনীর কবর জিয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় একথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আজকের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। সে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ বাস্তবে রুপ দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্র মুক্ত আধুনিক সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবে রুপ দিতে চলেছে। তার বিরুদ্ধে কিন্তু শত্রুরা লেগেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যা করতে চায় অনেকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালো রাত্রে বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে। তারাও কিন্তু আজও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে। ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করছে। তারা রাস্তায় আন্দোলন করছে। তারা একদফা চায়। এক দফা হলো শেখ হাসিনা কে সরাও, দরকার হলে তাকে মেরে ফেলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। অতএব আপনারা সজাগ থাকবেন, চোখ কান খোলা রাখবেন যাতে কোন অপশক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে সরাতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুই শেখ হাসিনা। আজকে আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আছে বলেই আপনার ভালো আছেন। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই শেখ হাসিনা কে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশ সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার আহবান জানান এমপি গোলাপ।

কবর জিয়ারতে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র এস এম হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান সরদার, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, পরিবারবর্গ সহ অনেকেই।