শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা টিকে থাকলে আমাদের স্বপ্ন টিকে থাকবে। আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য পূরণ হবে। কিন্তু বিভিন্ন গ্রুপ তাকে হত্যার চেষ্টায় আছে। দেশে দুষ্ট লোকের অভাব নেই। ২৩ বার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারা এখনও সুযোগের অপেক্ষায় আছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। শেখ হাসিনা এখন আরও বেশি সমর্থন চান। কোনো দেশ যখন উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে ইতিহাস বলে ওই সব দেশে যুদ্ধবিগ্রহ সন্ত্রাস ইত্যাদি চাপিয়ে দেয়া হয়। ইরাক সবচেয়ে প্রগ্রেসিভ দেশ ছিল। ধ্বংস হয়ে গেছে। লিবিয়া কোনো দিনও বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল ছিল না। কিন্তু তারাও শেষ হয়ে গেছে। যে দেশ যখন ভালো করে তখন তাদের শত্রু বাড়ে। ফলে দেশবাসীকে সতর্ক থাকবে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো, দেশে আইনের শাসন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা এই তিন কারণে শেখ হাসিনা সব সময় আমাদের জীবনে ভাস্বর হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফেরার আগে আওয়ামী লীগ খুবই কষ্টে ছিল। তিনি আসার পরে বহু কষ্ট করে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। ১৫ বছর পর প্রথম সরকার গঠন করে। তার কষ্টের কারণেই আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতায়। সরকারে আসার পর তিনি যে কাজটা করেছেন তা হল দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। আমাদের দেশের বড় লজ্জা ছিল ইনডেমনিটি। এ কারণে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যেত। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার সেটা বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে। এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার অন্যতম কৃতিত্ব।
আবুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলার। এর মানে হল উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। যেখানে ধনী-গরিবের ব্যবধান থাকবে না। সব নাগরিক সমান অধিকার পাবেন। সেই লক্ষ্য অর্জনে শেখ হাসিনা আমাদের দেশেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। গত ১০ বছর এবং আগের ৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের জন্য ছিল স্বর্ণযুগ। আজ সারা দুনিয়া আমাদের প্রশংসা করছে। এটা হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেতৃত্বে স্বচ্ছতা থাকলে এটা হয়। আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি শেখ ইকবাল খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ মজুমদার, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন