শেরপুরের শ্রীবরদীতে এসএসসি ২০০০ ব্যাচের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

‘এসো বন্ধু একফ্রেমে, এক সাথে, মিলিত হবো, আমাদের বিদ্যাপীঠে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী আকবরিয়া পাবলিক পাইলট ইনস্টিটিউট (এ.পি.পি.আই) এর এসএসসি ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক আনন্দমুখর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে শ্রীবরদী এ.পি.পি.আই স্কুলে আয়োজিত এই পুনর্মিলনীতে ব্যাচের শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে দেখে আনন্দিত হন এবং পুরনো স্মৃতিচারণ করেন।
শিক্ষাজীবনের প্রিয় মুহূর্তগুলো, সহপাঠীদের সঙ্গে কাটানো দিনগুলি, এবং সেই সময়কার নানা মজার ঘটনা নিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন তারা।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শ্রীবরদী এ.পি.পি.আই এর সাবেক প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আলী। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এসএসসি ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন কবির ও সকল শিক্ষার্থীরা।
২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শ্রীবরদী এ.পি.পি.আই এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াছমিন, সহকারী শিক্ষক সহিজদ্দিন, সহকারী শিক্ষক আফরোজা ইসলাম মেঘলা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও চন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান লাভলু, ময়মনসিংহ সিটি রয়েল কলেজের প্রভাষক মোখলেছুর রহমান শাহেদ।
শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল জীবনের স্মৃতি মনে করে বলেন, “এমন একটি অনুষ্ঠানে ফিরে এসে মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই স্কুল জীবনে ফিরে গেছি। এটা শুধু আমাদের বন্ধুত্বের নিদর্শন নয়, বরং আমাদের জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্তের স্মৃতি।”
এসএসসি ২০০০ ব্যাচের পুনর্মিলনী আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা এবং নিজেদের জীবনের সফলতা ও চ্যালেঞ্জগুলো একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করা। ব্যাচের সদস্যরা এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও নিয়মিত আয়োজন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে, শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান ও শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট বিতরণের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন