শেরপুরের শ্রীবরদীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার মুন্সিপাড়া থেকে সেলিনা আক্তার(২২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ অভিযোগে স্বামী স্বপন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক স্বামী স্বপন মিয়া (২৬) শ্রীবরদী উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ মার্চ শুক্রবার ভোরে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারবারিকভাবে গত তিন বছর আগে শ্রীবরদীর মুন্সিপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সাথে ইজারাপাড়ার জমশেদ আলীর মেয়ে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। কিন্তু স্বপন মিয়া বেকার থাকায় এবং মাদক সেবন করায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো।
এরইমধ্যে তারা দেড় বছর আগে আরস নামে একটা ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। গতকাল (২৭ মার্চ) রাতে নিজ ঘরে স্বামী স্ত্রী শুয়ে পড়ে। পড়ে ভোরে সেহেরি খাওয়ার সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে গৃহবধূ সেলিনা তাদের ঘরের ধর্নার সাথে ঝুলে আছে। বিষয়টি শ্রীবরদী থানা পুলিশকে জানালে আজ ২৮ মার্চ সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে সেলিনা আক্তারের বাবা জমশেদ আলী বলেন, তার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা শ্রীবরদী থানায় রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী স্বপন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার জাহিদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আত্মাহত্যার প্ররোচনার মামলা নিয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপ নিবে। ইতিমধ্যে ভিকটিমের স্বামী স্বপন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন