শেরপুরের শ্রীবরদীতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুর চাষ করে লাভবান জলিল মিয়া

সবুজ পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুরের ছড়া। দেখলেই জিবে জল চলে এসে পড়বে সবার। এবার পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুরের চাষ করেছেন দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা মেঘাদল গ্রামের বাসিন্দা জলিল মিয়া।

কৃষক জলিল মিয়া জানান, ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বসে প্রথমে দুই জাতের গড়ে ১২শ টাকা দরে ১০টি আঙ্গুর ফলের চারা নিয়ে আসেন। এরপর আরো দুই ধাপে ৪০টি জাতের ৮০টি চারা নিয়ে নিজের ১৫শতাংশ জমিতে রোপন করেন। এতে সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয় এক লাখ ২০হাজার টাকা। এরপর বাগানে আসতে থাকে সুমিষ্ট ফল। যে পরিমান ফলন হয়েছে, তাতে বাগান থেকেই সব খরচ উঠে লাভ হবে দুই লাখ টাকার উপরে। এছাড়া নিজেই এখন উৎপাদন শুরু করেছে আঙ্গুরের চারা।

জলিল মিয়ার আঙ্গুরের বাগান দেখে অনেক কৃষকই আগ্রহী হচ্ছেন। কেউবা আবার তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে লাগিয়েছেন।
আঙ্গুর ফল ছড়িয়ে পড়লে দেশের আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে বলছেন স্থানীয় যুবকেরা।

এ ধরণের চাষে কৃষকদের উৎসাহ ও সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলে কথা জানান শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার।

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারা লাগানোর ১০ মাস পর বাগানে আসে ফল। সফলতার হাতছানি পাওয়ায় নতুন করে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন জলিল মিয়া।