শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিপ্লব হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিপ্লব হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

শনিবার (২রা মার্চ) দুপুরে নিজমামদামারি কান্দাপাড়া ব্যাঙতলা মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিপ্লব হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাসির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিপ্লবের এলাকা বকশিগঞ্জ থেকেও ১০০ থেকে ১৫০ লোকবল মানববন্ধনে অংশ নেন।

মোহাম্মদ আলী বিদ্যানিকেতনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এই হত্যা কান্ডের মূল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, বিপ্লব খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করছে তাদের ফাসি দাবি করছি।

নিহত বিপ্লবের নানি নংফুল বলেন, আমার নাতিকে যারা খুন করেছে তাদেরকে পুলিশ তারাতাড়ি ধরছে না কেন! ধরে ফাসি দিলে আমার আত্মা শান্তি পেতো।

বিপ্লবের বন্ধুরা বলেন, আমার বন্ধুকে যারা খুন করছি তাদের ফাসি চাই। মৃত্যুর বদলে মৃত্যু চাই।
স্কুলে মানববন্ধন শেষ করে শ্রীবরদী থানার উদ্দেশ্যে রওনা হোন বিক্ষুব্ধকারীরা।

উল্লেখ্য যে, বিপ্লব শ্রীবরদীর দহের পাড়ের নানা হাজি আব্দুল মজিদের বাড়িতে থেকে শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের নিজমামদামারি কান্দাপাড়া মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনে লেখা পড়া করে আসছিল। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।

পবিত্র শব-ই বরাত উপলক্ষ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্রীবরদী উপজেলার নিজ মামদামারি কান্দাপাড়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে আসে বিপ্লব। পার্শ্ববর্তী চরশিমুলচূড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন নুদার ছেলে ও স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আরিফ হোসেন গংরা বিপ্লবের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করে। পরে ওয়াজ শুনে নানার বাড়ি আসার পথে আরিফ ও তার সহযোগীরা বিপ্লবের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।

তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় প্রথমে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ওইদিন ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পুলিশ সন্ত্রাসী আরিফ, মোখলেস, মনিরকে আটক করে।

পরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিপ্লবের বাবা কাবিল মিয়া বাদী হয়ে আরিফ, মোখলেস, মনিরের নাম উল্লেখ করে ও আরো ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়েরে করেছেন।