শেরপুরে চার বছরের শিশু কবিরাজ: অলৌকিক ক্ষমতায় সুস্থ হয়ে উঠছেন শতশত মানুষ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া কাজি বাড়ি এলাকায় ঘটেছে এক বিস্ময়কর ঘটনা। মাত্র চার বছরের এক শিশু, মোঃ লাবিব মিয়া, অলৌকিকভাবে হয়ে উঠেছেন এক ‘শিশু কবিরাজ’। তার জারফুক দেওয়া পানি ও তৈল ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে উঠছেন অসংখ্য রোগী। ফলে প্রতিদিন ভিড় করছেন শতশত নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষ।

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের পুত্র মোঃ লাবিব মিয়া কয়েক মাস আগে আচমকা আলোচনায় আসেন। তার মা আকস্মিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে সুস্থ করতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তেমন কোনো ফল না পাওয়ায় এক পর্যায়ে ছোট্ট লাবিব মায়ের জন্য পানি পড়া দেন। বিস্ময়ের বিষয়, পানি পড়া দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তার মা সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়। এরপর থেকে অসুস্থ রোগীরা একের পর এক ছুটে আসতে শুরু করেন লাবিব মিয়ার কাছে। শিশুটির সরলতা ও কোমল ব্যবহারে মানুষের বিশ্বাস আরও গভীর হয়। অনেকে বলছেন, শিশুটির জারফুকের পানি ও তৈল ব্যবহার করে তারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বর্তমানে শিশুটির বাড়িতে প্রতিদিন সকাল থেকেই শুরু হয় মানুষের ঢল। কেউ অসুস্থ শরীর নিয়ে আসছেন, কেউ আসছেন প্রিয়জনের আরোগ্য লাভের আশায়। কাজি বাড়ি এলাকায় এখন যেন মেলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শতশত মানুষ আসছেন এবং অপেক্ষা করছেন লাবিব মিয়ার কাছ থেকে পানি ও তৈল নেওয়ার জন্য।

এলাকাবাসী জানায়, শিশুটি খুবই সরল-সহজ। কোনো ধরনের ভয় বা অহংকার ছাড়াই সে নিরলসভাবে আগত রোগীদের জন্য পানি-তৈল পড়া দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই একে ‘আল্লাহর রহমত’ বলে মনে করছেন। তবে কিছু সচেতন মানুষ এ ধরনের ঘটনায় অতিরিক্ত ভক্তিতে না ভেসে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিচ্ছেন।

এলাকার পরিবেশও এ ঘটনার কারণে এক ধরণের ধর্মীয় আবহে ভরে উঠেছে। গ্রামের মানুষের মধ্যে একধরনের আবেগ ও শ্রদ্ধা কাজ করছে ছোট্ট লাবিব মিয়ার প্রতি। অনেকেই মনে করছেন, বিশ্বাস ও মানসিক শক্তিই এখানে বড় ভূমিকা রাখছে।

সবমিলিয়ে, চার বছরের এই শিশু কবিরাজ এখন শেরপুরের খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের কাজি বাড়ি এলাকার মানুষের কাছে এক বিশাল আশার নাম হয়ে উঠেছে।