শেরপুরে চুরি করে আড়াই মাসের শিশু বিক্রি, ৩দিন পর উদ্ধার: আটক ১


শেরপুরে আড়াই মাস বয়সী এক শিশু চুরি করে বিক্রি হওয়ার তিন দিন পর বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশু চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের ৪ সদস্যের মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অপর ৩ জন পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সদস্য সদর উপজেলার লসমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী জরিনা (৪৮)। অপর পলাতক ৩ সদস্য হলেন- জরিনার মেয়ে সাবিনা (২৮), সদর উপজেলার কামারের চর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) ও টাংগাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছেন, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে।
ওই ক্লিনিকে পূর্ব পরিচিত শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুটির মাকে বোকা বানিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
এদিকে ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদকে দিয়ে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে শিশু লাবিবাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুবায়দুল আলম জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন