শেরপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর, আহত ৫

শেরপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা, ভাংচুর ও ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। আহত ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের দেয়া হচ্ছে হুমকি। এতে চরম আতঙ্কে দিন চলছে ওই পরিবারের সদস্যদের।

(৩ মার্চ) সোমবার সকালে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ৭নং চর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মন্ডলের ছেলে ভুক্তভোগী মগরিব মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের ৭ নংচর গ্রামের মগরিব আলীর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত স্বত্বদখলীয় ৮১ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছেন। ওই জমির আরওআর ও বিআরএস রেকর্ডও তাদের নামেই। তারা সহজ সরল ও দূর্বল প্রকৃতির হওয়ায় ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছে কামারেরচর ইউনিয়নের ৭নং চর গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে আনিস মিয়া, সাহেব আলীর ছেলে কবির মিয়া, ইলিয়াস মিয়া গংরা।

এরই জের ধরে সোমবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক ওই জমিতে প্রবেশ করে আনিস, কবির, ইলিয়াস, বাদশা, ফারুক, হারুন, আলম, রেজ্জাক, সাত্তার, আয়েব আলীসহ ২৫/৩০ জন ব্যক্তি। ওইসময় মগরব মিয়া ও তার স্বজনরা বাঁধা দিলে তাদের বেধরক মারপিট শুরু করে তারা।

এতে আহত হন মগরব মিয়া, ছাবিনা আক্তার, রোমন মিয়া, এমাজ আলী ও মামুন মিয়া। পরে তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। একইসাথে তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লোটপাট করে। এঘটনার পর থেকে অব্যহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের। এতে চরম আতঙ্ক আর নিরাপত্তাহীনবস্থায় দিনাতিপাত করছে তারা।

পরে এ ঘটনায় মগরব মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় আনিস মিয়াসহ ১৭ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

মির্জা মিয়া বলেন, আমরা বাড়িঘরে আতংকে আছি। তারা আবার যেকোন সময় আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। আমরা নরম নিরিহ মানুষ।

নারগিস ও মজনু মিয়া জানান, তাদের ওপর ও বাড়িঘরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় আনিস মিয়ার লোকজন। এতে অনেকে আহত হয়। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে প্র‍ায় ৭ ভরি স্বর্ণ, সরিষার বিক্রির প্রায় ৩ লাখ টাকা ও ২৫ মন শুকনা মরিচ নিয়ে যান তারা। তারা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এর একটা সুরাহা চান তারা।

এব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জুবাইদুল আলম বলেন, এবিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম জানান, ইতিমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছে। ৭নং চরের গন্ডগোলের বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।