শেষ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপির আসলাম চৌধুরী

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কারাবন্দী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। প্রচার শেষ হওয়ার দিনে আজ বৃহস্পতিবার তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার গ্রিন সিগন্যাল পান।

সকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চত করা হয়েছে।

আসলাম চৌধুরীর নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এত দিন এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ইসহাক চৌধুরীকে বাতিল প্রার্থীদের তালিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৈধ প্রার্থী হিসেবে আসলাম চৌধুরীর নাম লেখা আছে।

নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, বিএনপির বর্তমান প্রার্থী ইসহাক চৌধুরীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আসলাম চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে দলের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উচ্চ আদালতের আদেশে আসলাম চৌধুরী হচ্ছে বৈধ প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন আসলাম চৌধুরীকে বৈধতা দিলে ইসহাক চৌধুরী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।

ইসহাক চৌধুরী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা দিতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়।তিনি বলেন, উচ্চ আদালত তাঁর আদেশে বলেছেন, ধানের শীষের প্রার্থী মো. ইসহাক চৌধুরী যদি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে সম্মত হন এবং দলের পক্ষ থেকে আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার প্রত্যয়নপত্র দেন, তবেই রিটার্নিং কর্মকর্তা আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীক দিতে পারবেন।

মিল্টন রায় বলেন, শেষ পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে ইসহাক চৌধুরী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি দেন। এতে আদালতের নির্দেশ অনুসারে আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থিতা দেয়া হয়েছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তফাজ্জল হোসেন জানান, আজকের মধ্যেই তারা আসলাম চৌধুরীর ব্যানার পোস্টার লাগানোসহ প্রচার করবেন। পাশাপাশি ইসহাক চৌধুরীর পোস্টার, ব্যানার তুলে নেবেন।

বিএনপি এই আসনে দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়। ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন যাচাইয়ের দিনে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তারা আপিল করেন নির্বাচন কমিশনে। সেখানে ব্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতে যান।

১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ আসলাম চৌধুরীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে। পরে সেটিও স্থগিত হয়।