শোকরানা মাহফিল, রোববারের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা স্থগিত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি শিক্ষার্থীদের শোকরানা মাহফিল থাকায় রোববারের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা পিছিয়েছে।
জেএসসি-জেডিসিতে রোববার যে পরীক্ষাগুলো ছিল, তা নেয়া হবে আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায়।
মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম ছায়েফ উল্ল্যা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার জেএসসিতে ইংরেজি ও ইংরেজি প্রথম পত্র (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য) এবং জেডিসিতে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। এসব পরীক্ষা পিছিয়ে গেল।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রোববার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শোকরানা মাহফিল থাকায় পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসার শোকরানা মাহফিল থাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এখন মন্ত্রণালয় পরীক্ষাই পিছিয়ে দিল।
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওয়ায়ে হাদিসকে (তাকমীল) সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি আইন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সারাদেশের ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসার ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন শাহ আহমদ শফী।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেশের দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।
এদিন সকাল ১০টা থেকে জেএসসিতে বাংলা, বাংলা প্রথম পত্র (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য) এবং জেডিসিতে কুরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে।
জেএসসি ও জেডিসিতে সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৩৮২ জন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৭ জন।
মোট অনুপস্থিত ছিল ৬৪ হাজার ৯৯৫ জন। আর মোট বহিষ্কার হয়েছে ৩৪ জন।
বৃহস্পতিবার মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্নফাঁস ছাড়াই সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই অপকর্ম ঠেকাতে আমাদের যা যা করণীয়, আমরা তা-ই করেছি। ফলে এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোনো রকম আশঙ্কা নেই।
তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় অপকর্ম ঠেকাতে পাঁচ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। চার স্তরে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। ফলে এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেউ সুযোগ পাবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন