শোক দিবসে ইবি ছাত্রলীগের শোকর্যালি, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকর্যালি ও গরীব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও গণভোজের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে এ শোকর্যালি শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মসূচির সাথে যুক্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” ম্যুরালে এসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন তারা।
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের নেতৃত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের তত্ত্বাবধায়নে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি, আল মামুন, বনি আমিন, রাকিবুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, মৃদুল হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, হোসাইন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ শেখসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরে দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মসূচি জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সভায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আগস্ট শোকের মাস, বেদনার মাস। এ মাসে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করেছিলো। তবে ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা সেইদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। আজ সেই দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই, তারা টেইক ব্যাক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে। তবে আমরা ইবি ছাত্রলীগ বেঁচে থাকতে ষড়যন্ত্রকারীদের এ বাঙলার মাঠিতে ঠাঁই হবে না।
সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আগস্ট মাস বাঙালীর সবচেয়ে বেদনার মাস। এ মাসে আমরা জাতির জনককে হারিয়েছি। সেইদিন ষড়যন্ত্রকারীরা এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে একটা জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য চেষ্টা করেছে। আমরা লক্ষ্য করছি, তারা আবার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ মাসকে বেঁচে নিচ্ছে। তবে তারা সফল হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে ।
পরে দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে গরীব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজধারণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
প্রসঙ্গত, শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের কলঙ্কিত কালো দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল এ কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৬ বছর আগে এ দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন