শ্রেণি কক্ষে চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিলেন শিক্ষক, চলছে ক্লাস

ঠিক দুপুর ১২.৪৯ মিনিট। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা ক্লাস চলছিল। এ সময় শ্রেণি কক্ষেই বেঞ্চের উপর পা তুলে ঘুমাছিলেন সহকারি শিক্ষক। সাংবাদিক উপস্থিতি জানতে পেরে আরেক সহকারী শিক্ষক শিক্ষকের ঘুম ভাঙালেন। নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) খালিয়াজুড়ি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের নূরপুর বোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে ১২.৪৯ মিনিটে বিদ্যালয়টিতে গেলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ১০৭ জনের স্থলে দ্বিতীয় শিফটে মোট শিক্ষার্থী পাওয়া যায় মাত্র ২১ জন।

৫ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত পাওয়া যায়। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা ক্লাস চলাকালীন সহকারী শিক্ষক গোলাম মৌলাকে শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চের উপর পা তুলে চেয়ারে বসে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশু শিক্ষার্থীরা এলোমেলো বসে রয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল,নাদিয়া,তাওমিদ জানায়, আমাদের বাংলা ক্লাস চলার সময় স্যার চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে স্যারকে আমরা আর ডাক দেয়নি। ম্যাডাম স্যারের ঘুম ভাঙিয়েছে।

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক গোলাম মৌলা জানান, আমার শরীরে জ্বর। আমি ছুটি নিতে চেয়েছিলাম। তাই চোখে ঘুম এসে গেছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক তপন কান্তি সরকার জানান, ভাই এ সংবাদটি পরিবেশন করবেন না। এতে বিদ্যালয়ের ক্ষতি হবে।

এ বিদ্যালয়ে ১০৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দ্বিতীয় শিফটে আছে ২১ জন। এত কম শিক্ষার্থী কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, চারটি মাদ্রাসা হয়েছে। তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমে গেছে।

খালিয়াজুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হান জানান, শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ক্লাস রুমে ঘুমানোর কোন সুযোগ নেই। যদি ঘুমিয়ে থাকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুল আজম, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেয়া হবে।