ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে : আমিনুল হক


রাস্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কালশিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের ক্যান্টেনমেন্ট থানার ৩১ দফার ২৬ তম সমাপনী কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় আমিনুল হক বলেন,বাংলাদেশে গত ছয় মাসে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে বসে আছে। তারা ঐ প্রতিষ্ঠানে বসে বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।
এসময় ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,আমাদের সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার লক্ষ্যে ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকলকে ঐকবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় আমিনুল হক বলেন,স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গনতন্ত্র হত্যা করে মনুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে সংবিধান থকে নিরপেক্ষ সরকার ব্যাবস্থা বিলুপ্ত করেছিলো। নির্বাচন ব্যাবস্থাকে এমন অবস্থা করছিলো আওয়ামিলীগ কর্মিরাও ভোট দিতে গিয়ে দেখতো তাদের ভোট অন্য কেউ প্রয়োগ করেছে।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখেছিলো তারা ক্ষমতায় থাকবে।কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরলষ পরিশ্রমে দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে মামলা হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীরা গত জুলাই আগষ্টে ১ দফার দাবিতে গণআন্দোলনে হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়।
এসময় তিনি অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আওয়ামী স্বৈরাচারের পতনের পর অন্তর্বতী সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আস্থা রেখেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য। তাই দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচনের ব্যবস্হা করুন।নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংষ্কার করবে।
এসময় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন,বিএনপি কোন বিশৃঙ্খলাকারী চাঁদাবাজি দখলদারি ও লুটতরাজকে প্রশ্রয় দেয় না এবং যারা দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করবেন তাদেরকেও বিএনপি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেয় না।
এই বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনারা সতর্ক হয়ে যান! সাবধান হয়ে যান! বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী এই ধরনের কর্মকান্ডের সহিত যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছি। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। যারা চাঁদাবাজি লুটতরাজ দখলদারি করে, তারা সমাজের শত্রু। তারা আমাদের দলের কেউ হতে পারে না “।
এই সময়ে আমিনুল হক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ” আপনাদেরকে বলার উদ্দেশ্য হলো-এই বিষয়ে আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা যদি সর্তক না থাকেন। তাহলে আপনারা কিন্তু ভূল পথে ধাবিত হন তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেয়া হবে “।
এসময় তিনি বলেন,৩১ দফা রুপরেখার সংষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের যে চাওয়া যে প্রত্যাশা। যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য একটি সুন্দর সমাজ গড়ার ও একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব।
ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি আহবায়ক এ্যাড.আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব মোঃ মোস্তফা জামান,মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি,এবিএমএ রাজ্জাক,আকতার হোসেন,আতাউর রহমান,গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ,হাজী মোঃ ইউসুফ,তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন,শাহআলম,মাহাবুব আলম মন্টু,মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা,মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী,আব্দুস সালাম সরকার,মোতালেব হোসেন রতন,রফিকুল ইসলাম খান, আশরাফুজাহান জাহান,রেজাউর রহমান ফাহিম,ডাঃ এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ,মনিরুল আলম রাহিমী,হাজী নাসির উদ্দিন,নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু,এম এস আহমাদ আলী,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,ইবরাহিম খলিল,হান্নান ভূইয়া, তাসলিমা রিতা,মাহাবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন,যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল,সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী,শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্যসচিব কামরুজ্জামান,জাসাস ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা,এছাড়াও দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক হেলাল তালুকদার,যুগ্মআহবায়ক আমিরুল ইসলাম বাবুল,দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন,ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান রতন,জিন্নাত আলী, হারুনুর রশিদ, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি,থানা সদস্য আলমগীর হোসেন,ওয়াহিদ আলম, মোঃ শাহাদাত হোসেন,ভাষানটেক থানা বিএনপি আহবায়ক আব্দুল কাদির, উত্তরখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সুলতান মাহমুদ বকুল, হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহবায়ক নাজমুল হক মাসুম,মিরপুর থানা বিএনপি আহবায়ক হাজী আব্দুল মতিন,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু,পল্লবী থানা বিএনপি আহবায়ক কামাল হোসাইন খান,যুগ্ম আহবায়ক মোকছেদুর রহমান আবির,রুপনগর থানা বিএনপি আহবায়ক জহিরুল হক,যুগ্ম আহবায়ক ইন্জি: মজিবুর হক,আলী আহমেদ রাজু,তেজগাঁও থানা বিএনপি আহবায়ক ইন্জি:মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু,আদাবর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হানিফ,গুলশান থানা বিএনপির আহবায়ক এস এ মামুন,যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান কবির, আসাদুজ্জামান আসাদ,উত্তরাপূর্ব থানা বিএনপির আহবায়ক শাহআলম,যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক,খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহবায়ক এসএম ফজলুল হক,যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক মনির হোসেন ভূইয়া,যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু,মহিউদ্দিন তারেক,যুগ্ম আহবায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী,মোঃপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মীর মোঃ কামাল হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম,থানা আহবায়ক কমিটি সদস্য আব্দুল আলী,সেচ্ছাসেবক দল কাফরুল থানার যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম,রুপনগর থানার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, খিলক্ষেত থানা ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন,মোঃপুর ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন