ষাঁড়ের জন্য বিয়ে করবেন না তিনি!
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে সেলভারানি কানাগারাসু নামে এক নারী জালিকাট্টু খেলার ষাঁড়ের যত্ন নেয়ার জন্য জীবনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জালিকাট্টু হচ্ছে তামিলনাড়ুর শত শত বছরের পুরনো একটি খেলা যা জানুয়ারি মাসে পোঙ্গল নামে ফসল-ওঠার উৎসবের সময় অনুষ্ঠিত হয়। ষাঁড়ের শিংয়ের সঙ্গে নানা রকম পুরস্কার বেঁধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় হাজার হাজার মানুষ ষাঁড়টিকে তাড়া করে সেগুলো খুলে নেয়ার চেষ্টা করে। ধাবমান ষাঁড়ের গুঁতোয় বা খুরের আঘাতে অনেক মানুষের মৃত্যুও হয়।
সেলভারানির বয়স এখন ৪৮, তার পোষা ষাঁড়টির নাম রামু। সে পাঁচ বার জালিকাট্টুর শিরোপা জিতেছে। এ ক্ষেত্রে রামু এখন কিংবদন্তির মর্যাদা পাচ্ছে।
প্রতিযোগিতার নিয়ম হলো, কেউ যদি ষাঁড়ের কাঁধ ধরে ঝুলে থেকে ১৫-২০ মিটার পার করতে পারে বা ষাঁড়ের তিনটি লাফ টিকে থাকতে পারে- তাহলে সে জয়ী হয়। কেউ তা না পারলে ষাঁড়টিই জয়ী হবে।
সেলভারানির পিতা এবং পিতামহও জালিকাট্টুর ষাঁড় পালন করতেন। সেলভারানি কিশোরী বয়েসেই সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছিলেন যে তিনিও এ কাজই করবেন। তামিলনাড়ুতে মাঝখানে দু’বছরের জন্য জালিকা্ট্টু নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট; প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণ দেখিয়ে। কিন্তু এ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে কেন্দ্রীয় সরকার এটা আবার চালু করার অনুমতি দেয়।
সেলভারানি কানাগারাসু বলেন, আমার বাবা ও দাদু দুজনেই জালিকাট্টুর ষাঁড় পালতেন, এবং সেটাকে তাদের সন্তানের মতোই মনে করতেন। কিন্তু সেলাভারানির দুই ভাই জালিকাট্টুর ব্যাপারে উৎসাহী না হওয়ায় নারী হয়েও তিনিই এ পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
রামুর বিজয়ের জন্য সেলভারানি পুরস্কার হিসেবে সিল্কের শাড়ি এবং স্বর্ণমুদ্রা পুরস্কার পেয়েছেন। তার কথা, রামু আমার সন্তানের মতো। যে শুধু আমাকে পুরস্কার এনে দিয়েছে তাই নয়- আমার পরিবারকে সম্মানও এনে দিয়েছে। বিবিসি বাংলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন