সংক্রমণ কিছুটা কমেছে, এটা ধরে রাখতে চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন ও জীবিকা দুটোই পাশাপাশি চলবে। জীবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ। জীবিকাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও আমি মনে করি জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই জীবনকে রক্ষা করে জীবিকা অর্জন করতে হবে। করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়েছিল, সেটা বর্তমানে কিছুটা কমেছে। আমরা সংক্রমণ কমানোর এ হার ধরে রাখতে চাই। একইসঙ্গে আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। এজন্য শুধু সরকার নয় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’কথাগুলো বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না। তবে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

সোসাইটি অব মেডিসিন এবং সিডিডি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা গত দেড় বছর যাবৎ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও তাদের করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন টেস্টের ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার ডেঙ্গু এসেছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসাও আমাদের দিতে হচ্ছে। প্রতিটা জিনিসের একটা সীমা রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই ইনফেকশন কমাতে হবে।

Dutch Bangla Bank Agent Banking
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসে আরও এক কোটিরও বেশি টিকা আসবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। তবে, ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের পাইপলাইনে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আছে, সেটা পাওয়া গেলেই ভ্যাকসিনের কোনো সমস্যা হবে না। টিকা নেওয়ার লাইনে বেশিরভাগ তরুণ এবং কম বয়সীদের দেখা যায়। কিন্তু যারা অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের তাদের আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ তাদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, অল্প দিনেই আমাদের চার থেকে পাঁচ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগ হয়ে যাবে, যেটা খুবই প্রয়োজন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল বানাচ্ছি। এসবের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও চলমান।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, হাসপাতালে আর শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংক্রমণ কমিয়ে আনা ছাড়া গতি নেই।