রংপুর সিটিতে সেনা মোতায়েনের কোনো প্রস্তাব আসেনি : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে নির্বাচনকালীন কোনো কেন্দ্রে সহিংসতা হলে ভোট বন্ধ থাকবে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে শেষে মিডিয়া সেন্টারে প্রেস বিফ্রিংয়ে এমন মন্তব্য করেন সিইসি। অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, বৈঠকে সেনা মোতায়েন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
বিএনপি বলছে, রংপুর সিটি নির্বাচন ইসির পরীক্ষা। এক্ষেত্রে ইসি বিএনপির প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো প্রত্যাশা পূরণ নয়, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। বিএনপির আশঙ্কার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাসায় ফিরে যেতে পারেন এবং সকল প্রার্থী যাতে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বিষয়ে সিইসি বলেন, তারা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে বলেও জানান সিইসি।
তিনি আরো বলেন, এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩টি মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। র্যাবের ৩৩টি টিম, বিজিবি’র ১৮ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন থাকবে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
সিইসি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এবং রংপুর শহরে দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাচন কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য অনুযায়ী রংপুরের সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তারা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন না। তাদের ধারণা, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
রংপুর সিটির পাশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অবগত আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছে, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো এখনো আমরা নির্ধারণ করিনি। আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হলো, যেভাবেই হোক নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা এবং এর জন্য যা যা দরকার আমরা তা-ই করবো।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন