সংসদ নির্বাচন : মনোনয়নপত্র বাতিলের শীর্ষ ১০ কারণ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সারাদেশে ৩০০ আসনে ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু কারণে এসব মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এসব কারণের মধ্যে শীর্ষ ১০টি কারণ হলো খেলাপি ঋণ, হলফনামায় সই না থাকা, ভুয়া ভোটারের সই, আয়কর রির্টান জমা না দেওয়া, জামানত না দেওয়া, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধির পদত্যাগপত্র জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে না পোঁছানো, মনোনয়নপত্র কেনার রসিদ জমা না দেওয়া, ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়া, দলীয় মনোনীত ব্যক্তির সইয়ে গরমিল থাকা ও আয়কর জমা না দেওয়া।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৩টি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রবিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অলি আহমেদ জানান, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি ও বিএনপি জোটের ৮০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকার ১৫টি আসনে ৫২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীসহ অনেক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ঋণখেলাপির কারণে।

ঢাকা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ফাহিমা হোসাইন জুবলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে দলীয় মনোনীত প্রার্থী দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই সংক্রান্ত জটিলতার কারণে।

ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হুদা চৌধুরীসহ অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভুয়া ভোটারের সই দেওয়ার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে তিন হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ২ হাজার ৫৬৭ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৯৪ জন। ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬৪ আসনে ২৮১ জন, বিএনপি দেশের ২৯৫ আসনে ৬৯৬ জন, জাতীয় পার্টি ২১০ আসনে ২৩৩ জন এবং অন্যান্য দলের ১ হাজার ৩৫৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাতিলের পর এখন প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ২৯৭ জনে।

তবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, স্ব স্ব রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে বাতিল আদেশের সার্টিফায়েট কপি সংগ্রহ করে সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার ইসিতে আপিল করতে পারবেন সংক্ষুব্ধরা। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বৈধ ও অবৈধ উভয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আপিল করা যাবে। তবে বৈধ মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিল ইসি এখতিয়ারে নিতে পারবে কিনা, আইনে তা স্পষ্ট নয়।