সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরামর্শ বিশিষ্টজনদের

বর্তমান সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
শনিবার রাজধানীতে দ্য ঢাকা ফোরাম আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এ পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সংসদ সদস্য নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিংবা বিশেষজ্ঞ মহলে চলছে নানা তর্কবিতর্ক। কিন্তু এর সমাধানে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আর সেটি সম্ভব করতে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা সবার আগে প্রয়োজন বলে মনে করছেন সমাজের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলেরও কড়া সমালোচনা করেন বক্তারা।
সেমিনারে সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ বলেন, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নিশ্চয়তা কে দেবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এদেশে এই নির্বাচনের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেন না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারের সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করেন।
আর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মতে, নির্বাচন বর্তমান সরকারের পকেটে। সেখান থেকে বের করতে না পারলে সেনা মোতায়েন করেও কোনো লাভ হবে না।
বর্তমান সংসদে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মনে করেন আলোচকরা। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের আইন পরিবর্তনেরও পরামর্শ দেন তাঁরা।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে একটা ফলাফল আসবেই।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















