সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি (Ghanshyam Bhandari) সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সাক্ষাতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন যথা- বইমেলা, চিত্র প্রদর্শনী, ফুড ফেয়ারসহ সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের মানুষ খুব বন্ধুপরায়ণ এবং তারা মিথ্যা বলতে জানে না। তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের ১৪ জানুয়ারি নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এবং বর্তমানে ২০২২-২০২৫ মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি চালু রয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, শুধু চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আমরা বাস্তবিক অর্থেই দুই দেশের মধ্যে যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি এসময় নেপালকে ১৯তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী ২০২২ -এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান যেটি মাসব্যাপী চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদে অনুষ্ঠিত হবে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের অংশগ্রহণে আমরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্ট আয়োজন করতে চাই যার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বন্ধন বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে দু’দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের পারস্পরিক ভ্রমণ ও পরিদর্শন বৃদ্ধি করতে হবে যার মাধ্যমে দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি পাবে।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমরুল চৌধুরী, নেপাল দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ললিতা সিলওয়াল (Lalita Silwal), প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন