সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে গেলে দেশের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যায় : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন; বাংলাদেশ পৃথিবীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের শেকড় লুকিয়ে আছে লোকসঙ্গীত, হস্তশিল্প, দেশীয় সাহিত্যে আমাদের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে গেলে দেশের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যায়। আকাশ সংস্কৃতির যুগে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনি আয়োজনকে সাধুবাদ জানান। চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনেক কৃতী সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারা দেশে অবদান রাখছেন। সব এলাকাতে সংস্কৃতি থাকলেও ধরে রাখা যাচ্ছে না। কিন্তু চাঁপাই নবাবগঞ্জ তা পেরেছে।

আজ(শুক্রবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউটে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতির আয়োজনে “১২তম চাঁপাই উৎসব-২০২২” উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার সকাল ১০ টায় ‘১২তম চাঁপাই উৎসব’ উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশ পেতাম না। আর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছি মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। তর নেতৃত্বেই ৪১ সালে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। সরকার নদী ভাঙ্গন রক্ষার্থে বাধঁ নির্মাণ করছে, কিছু আসাধু ব্যবসায়ীরা নদীর থেকে বালু উত্তলন করার ফলে অনেক যায়গায় নদীরতীর রক্ষা বাধঁ ভেঙ্গে যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলতে হবে। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ সম্পন্ন হলে ফসল উৎপাদনে যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি মানুষের অর্থনৈতিক দৈন্যতা লাঘব হবে নতুন করে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন; সব দিকে এগিয়ে দেশ। মাথাপিছু আয় দুই হাজার পাচঁ’শ ডলার ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সঠিক ও সময়োপযোগী কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বন্যা থেকে সুরক্ষা দেয়া হবে। অন্য জেলার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জকে রক্ষার জন্য মহানন্দা নদীতে রাবার ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে,পদ্মার নদীর বাধেঁর সংরক্ষণ কাজ এগিয়ে চলছে। এই জেলার ফসলের ও সুপেয় পানির জন্য যা যা করা প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু কন্যা সব করে দিবেন।

সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল,সংরক্ষীত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি জাহান জেসি ও পৌর মেয়র মো. মোখলেসুর রহমান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। উৎসবের মূল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সমিতির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহতাব উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

চাঁপাই উৎসবে রাজধানীর বুকে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন পেশার কৃতি ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০ জন গুণী মানুষকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দিনব্যাপী চাঁপাই উৎসবে সকালের নাস্তায় ছিল চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কালাই রুটি। চল্লিশটি চুলায় সেই রুটি তৈরিতে ব্যাস্ত ছিল কারিগররা। দুপুরে গরুর মাংস, মোটা চালের ভাত ও বিকেলে স্থানীয়ভাবে প্রসিদ্ধ খাবার আন্ধাসা পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।