সত্তুর সাল থেকে মানুষের পাশে এমপি মহিবের পরিবার

সত্তুর সাল থেকে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে এমপি মহিব্বুর রহমানের পরিবার। কোন বিনিময় ছাড়া শুধু মাত্র অসহায় মানুষদের ভালোবেসে তাদের পাশে থেকেছে এই পরিবারটি। তখন কি এমপি হওয়ার আশায় মানুষের জন্য কাজ করেছিল। কেবল বন্যাকবলিত এলাকা নয়, এই পরিবারটি নিজ এলাকার মানুষের সন্তানদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে প্রতি বছর বিশাল অঙ্কের একটা অর্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করে থাকে। এছাড়া প্রায় ত্রিশ বছর সময় ধরে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র দিয়ে আসছে এই পরিবারটি। না কি তখনও এমপি ছিলেন মহিব্বুর রহমান।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্বাচনী এক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন নৌকার প্রার্থী মহিব্বুর রহমানের সহধর্মিণী অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা। বালীয়তলীর নলবুনিয়া এলাকার এ বৈঠকে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আনসার আকন্দের সভাপতিত্বে এসময় তিনি আরো বলেন, কোন মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের স্থান দেননি বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের অনুসারী আপনাদের আজকের এমপি।

তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে এক ব্যক্তি চিল মার্কা নিয়ে আপনাদের কাছে এসে দরদ দেখিয়ে দলকে ছোট করে মহান সাজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা জানতে চাই গত পাঁচটি বছর কোথায় ছিলেন, নৌকায় ভর করে এমপি মন্ত্রী বনে যাওয়া আওয়ামী বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান। করোনার মহামারীর সময় কেউ বলতে পারবেন যে তিনি একবারের জন্যও ঘরের বাইরে গিয়ে এই জনপদের মানুষের খবর নিয়েছেন।

কেউ বলতে পারবেন, গত পাঁচটি বছর কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাবেক এই মন্ত্রী কোন এলাকায় গিয়ে প্লাবিত মানুষের খবর নিয়েছেন। তাহলে এই নৌকার ছায়াতলে থেকে শত শত কোটি টাকা অবৈধ ভাবে কামাই করতেই কি তিনি বঙ্গবন্ধুর নৌকার জন্য ন্যাকা কান্না দেখিয়েছেন। এছাড়া উঠান বৈঠকে কেন্দ্রীয় যবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামিম আল সাইফুল সোহাগ তার বক্তব্যে বলেন, জাতে মাতাল তালে ঠিক, তার নামই আওয়ামী লীগ। কারণ বঙ্গবন্ধুর ভক্তরা কখনো নৌকার ছবি উপেক্ষা করে অন্য কোথাও ভোট দিয়েছেন এমন নজির আমি দেখিনি। তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার জেনে রাখবেন, শেখ হাসিনার এবং বঙ্গবন্ধুর একমাত্র প্রতীক হচ্ছে নৌকা। কারো মিথ্যা আশ্বাসে আপনারা বিচলিত হবেন না। কারন শেখ হাসিনা তার পছন্দের পাত্রের হাতেই নৌকা তুলে দিয়েছেন। তাই এই এলাকার উন্নয়ন কল্পে নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। কারণ দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই।

এসময় উঠান বৈঠকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শত শত নারী এবং পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।