সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বদলগাছী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে দেখা করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদলগাছী উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। তাদের সাথে দেখা করে সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে মন্দির পাহারা দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। উপজেলার প্রায় সব এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান সারা দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জান-মাল, দোকানপাট ও উপাসনালয় মন্দির রক্ষায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরগুলো পরিদর্শন করছি এবং হিন্দু ভাইদেরকে অভয় এবং আশ্বাস দিচ্ছি যাতে তারা নির্ভয়ে জীবন যাপন করতে পারে। এর পাশাপাশি তাদের বাড়িঘর, দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব দিকে আমাদের লোকজন সজাগ দৃষ্টি রাখছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বদলগাছী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও জামাতের নেতা স.ম ফজলুল করিম বাচ্চু, বদলগাছী ইউনিয়ন জামাতের আমির মোঃ আব্দুল ওয়াহেদসহ উপজেলা জামাত ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।

জামাতের নেতা স.ম ফজলুল করিম (বাচ্চু) বলেন, জামায়াত মনে করে সংখ্যালঘু বলে দেশে কিছু নেই, সবাই দেশের নাগরিক। উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছি। তাদের এ আশ্বাস দিচ্ছি যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে আমরা রয়েছি। হিন্দু-মুসলিম আমরা সবাই ভাই ভাই, এ দেশেরই নাগরিক। বাংলাদেশ ধর্মীয় সংঘাতমুক্ত সৌহার্দপূর্ণ একটি দেশ। একটি সুবিধাবাদী মহল চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে, কিন্তু আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেব না। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের জান-মাল এবং উপানালয় রক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলো পরিদর্শন করার জন্য জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ কাজির নেতৃত্বে একটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়েছে। যারা জেলার সব এলাকা ঘুরে দেখবে।

উপজেলার গোরশাহী মন্দিরের সভাপতি উত্তম কুমার বলেন, জামায়াতের ভাইয়েরা কষ্ট করে আমাদের মন্দির ও ঘরবাড়ির খোঁজ-খবর নিতে এসেছে জন্য আমরা হিন্দু সম্প্রদায় খুবই খুশি ও আনন্দিত। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।