সন্তানদের বাঁচাতে ভবন থেকে ছুঁড়ে মারছেন মায়েরা
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ার নামক ২৭ তলা একটি ভবনে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভেতরে আটকা পড়া লোকজন বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করছেন। তাদের শিশুদের বাঁচাতে ভেতর থেকে অন্যজনের কাছে ছুঁড়ে মারছেন। আবার কেউ কেউ শিশু সন্তানসহই নিচে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লাটিমার রোডের ল্যানচেস্টারে গ্রেনফেল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ জন হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস লন্ডনের কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জ্বলন্ত ভবনের ভেতর এখনও আটকা পড়ে আছে অনেকে। সাহায্যের জন্য তারা চিৎকার চেচামেচি করছে। বিশেষ করে তাদের বাচ্চাদের রক্ষার জন্য চিৎকার করে সাহায্য চাইছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী জোডি মার্টিন বলেন, ‘একজন লোককে আমি উপর থেকে পড়ে যেতে দেখেছি। এক নারীকে দেখেছি তার বাচ্চাকে নিয়ে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়তে। অনেক চিৎকার শুনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেককেই বলেছি, নেমে আসুন। তারা বলছিল, আমরা ভবন ত্যাগ করতে পারছি না। প্রচুর ধোঁয়া।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, কীভাবে ‘আমার বাচ্চাকে বাঁচাও’ বলে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া লোকজন তাদের সন্তানদের ছুড়ে মারছেন অন্যের কাছে
আইয়ুব আসিফ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি সিএনএনকে জানান, তার পরিবার ওই ভবনেই বাস করে। তিনি ভবনের অনেককে লাফিয়ে পড়তে দেখেছেন। আইয়ুব বলেন, ‘আমার ভাতিজা সেখানে ছিল, আমার চাচাতো ভাইবোনেরা সেখানে ছিল।’ ভেতর থেকে আহতদের বের করে আনতে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের সহায়তা করেছেন তিনি। তার আত্মীয়সহ অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইয়ুব বলেন, ‘আমি লোকজনকে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়তে দেখেছি।’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী ওমর চৌধুরি জানান, আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের মাঝামাঝি জায়গার ফ্লোর থেকে তিনি অনেককে লাফিয়ে পড়তে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি যে কেউ লাফিয়ে পড়ছে।’ ভবনের উপরের অংশ সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে গেছে বলেও জানান ওমর।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স বলছে, এখন পর্যন্ত ৫০ জনকে তারা আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন