সব গুজব, আ.লীগ কার্যালয় ঘুরে বললো শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর জিগাতলা থেকে ৯ দফা দাবিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের চার শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে আটকে রাখার খবরকে গুজব বললো খোদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই। শনিবার সন্ধ্যায় জিগাতলার সীমান্ত স্কয়ারে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, চার শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে আটকে রাখার গুজব ছড়ানো হয়। কিন্তু তারা ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে দেখেছেন ঘটনা সত্য নয়।

এসময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ছাত্রদল ও শিবিরের ছেলেরা এই গুজব ছড়িয়েছে। নীলক্ষেতে স্কুলের পোশাক বানাতে গিয়ে চারজন গ্রেফতার হয়েছে।

তিনি বলেন, দাবি আদায় না হলে ছাত্রলীগই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেবে।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের চারজন প্রতিনিধি নিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান নেয়ার পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন সীমান্ত স্কয়ারের সামনে।

শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের মারতে উদ্যত হলে গোলাম রব্বানী তাদের থামান।

চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন সিটি কলেজের ছাত্র তৌসিফ আবিদ ও ধানমন্ডি রাইফেলস কলেজের হাসিবুর রহমান তুর্জ। বাকি দুজন পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানান।

এর আগে সকাল থেকে রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকায় শিক্ষার্থী ও ‘ছাত্রলীগ কর্মীদের’ মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে।

এতে তাদের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানায় একাধিক শিক্ষার্থী। একইভাবে ছাত্রলীগ থেকে অনানুষ্ঠানিক জানানো হয়, তাদেরও প্রায় ২০ জনের মতো আহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে কুর্মিটোলা হাসপাতালের পাশে ফুটপাতে বাসচাপায় ২৯ জুলাই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। তারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এরপর ঘাতক জাবালে নূর বাসের চালকের ফাঁসি এবং নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে টানা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আসছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে। একাধিক স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।