সমস্যা যখন অ্যাকজিমা
ডা. দিদারুল আহসান :
দেহের বিভিন্ন স্থানে অ্যাকজিমা হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
কানে অ্যাকজিমা- বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তৈলাক্ত পদার্থ কানের বাইরের অংশে সরু পথে জমা হয়ে অ্যাকজিমা হতে পারে। একে কানের খৈল বলে এবং আক্রান্ত স্থানে চুলকায়। মানসিক উত্তেজনায় এ নিঃসরণ বেড়ে যায়। কানে খোঁচাখুঁচিতে এ স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে।
চোখের পাতায় অ্যাকজিমা- নেইল পলিশ দিয়ে চোখের পাতা চুলকালে সংক্রমজনিত চোখে অ্যাকজিমা হতে পারে। যদি দু’চোখের পাতায় হয় তবে চোখে ব্যবহৃত প্রসাধনসামগ্রীকে এর জন্য দায়ী করা যায়।
মাসকারা, আইস্যাডো, আইল্যাস, আইলাইনারের কারণে এ অ্যাকজিমা হতে পারে। চুলের কলপ, চুলের প্রসাধনসামগ্রী থেকেও এ স্থানে অ্যাকজিমা হতে পারে।
স্তনে অ্যাকজিমা- বেশিমাত্রায় সাবান দিয়ে এ স্থান পরিষ্কার ও তোয়ালে দিয়ে রগানো থেকে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত ত্বক থেকে রস গড়ায়। যে মায়েরা শিশুদের স্তন পান করান তাদের স্তনের বোঁটা ফেটে অ্যাকজিমা হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এর চিকিৎসা করা দরকার। অনেকদিন থেকে এ সমস্যা চলতে থাকলে স্তনের অ্যাকজিমা থেকে ক্যান্সার সমতুল্য প্যাজেট ডিজিজ হতে পারে। কোনো কোনো সময় ত্বকের
বায়োপসিও করতে হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা নিলে ও নিয়ম-কানুন মেনে চললে রোগী ভালো হয়ে যায়।
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আল রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন