সমাজকে ভুল প্রমাণ করতে ধর্ষিতাদের পোশাকের প্রর্দশনী
ধর্ষণ বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই হোক না কেন, ঘুরেফিরে ঠিক প্রশ্ন ওঠে নারীদের পোশাক নিয়েই। নারীদের পোশাকই নাকি ধর্ষণের কারণ। নারীদের পোশাক দেখেই নাকি পুরুষরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে, এই বিরক্তিকর মন্তব্য থেকে সমাজকে মুক্ত করতে এক বিশেষ প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করা হয় বেলজিয়ামে।
গোটা বিশ্বের ‘পোশাকই ধর্ষণের কারণ’ এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য বেলজিয়ামের ব্রুসেলসের এক মিউজিয়ামে অদ্ভুত এক প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাস্তবে যে নারীরা ধর্ষিত হয়েছেন, তারা সে সময় যে পোশাক পরেছিলেন, সেই পোশাক প্রর্দশিত হয়েছে এখানে।
ধর্ষিতাদের পোশাকই প্রমাণ দিচ্ছে, পোশাক নয় সমাজের বিকৃত মানসিকতাই ধর্ষণের জন্য দায়ী। মিউজিয়ামে এমন পোশাকও রয়েছে যা পরে মহিলারা রাতে শুতে যান, সেই পোশাকেও নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পায়জামা, ট্র্যাকস্যুট, মেয়েদের ফুলহাতা শার্ট, এমনকী শিশুদের পনি শার্টও। প্রতিটি পোশাকের পাশে ওই নারীর ধর্ষণের কাহিনী বর্নিত হয়েছে।
প্রর্দশনীতে যে পোশাকগুলি দেওয়া হয়েছে, তা সাধারণভাবে দেখে মনে হতেই পারে না যে এই পোশাকগুলি কোনওভাবে পুরুষদের উত্তেজিত করতে পারে। বেলজিয়ামের এই মিউজিয়ামের এক কর্মকর্তা জানান, ধর্ষণ শুধু এক নারীর শরীরকে ক্ষতি করে না, তার মনেরও ক্ষতি হয়। বিশ্ব থেকে এই ধর্ষণ নামক শয়তান যাতে চিরতরে দূরে চলে যায় তার জন্যই এই প্রর্দশন।
ধর্ষণের জন্য মহিলাদের পোশাককেই দায়ি করা হয়। কিন্তু এই প্রর্দশনীতে যে সব ধর্ষিত নারীদের পোশাক রাখা রয়েছে, তা দেখে মনে হবে না যে ধর্ষণের জন্য পোশাক দায়ি। এই প্রর্দশনীর মধ্য দিয়ে সমাজের কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এই প্রর্দশন। চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন