সম্পদ জব্দ হওয়ার ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প

জালিয়াতি মামলায় জরিমানার অর্থ পরিশোধে অপারগতা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।

সোমবার (১৮ মার্চ) ট্রাম্পের আইনজীবী জানান, তাকে যে পরিমান অর্থ জরিমান করা হয়েছে সেই অর্থ তার কাছে নেই। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম, বিবিসি র এক প্রতিবেদনে বলা  হয়েছে জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে রয়েছে ‍সুদ। এতে সব মিলে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

আদালতের বিচারপতি বলেন, মোটা অঙ্কের ঋণ পেতে ট্রাম্প ব্যাংকারদের কাছে তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের মূল্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান। এর আগে তাকে অবশ্যই আপিল আদালতের অ্যাকাউন্টে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে অথবা তার পক্ষে কোনো কোম্পানিকে ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধের বন্ডে স্বাক্ষর করতে হবে।

তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, অর্থ পরিশোধের জন্য তার মক্কেল ৩০ জনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কেউ রাজি হয়নি। 

এদিকে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, তাকে ফাঁসানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছে।

ট্রাম্প যদি জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে আগামী সোমবারই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে।