সম্মিলিতভাবে কুরআন তেলাওয়াতের উপকারিতা
কুরআন আল্লাহ তাআলার কিতাব। যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তা শুনার জন্য এবং চুপ থাকার জন্য নির্দেশনা এসেছে কুরআনে। হাদিসে এসেছে, ‘কুরআন তেলাওয়াত সর্বোত্তম ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।’
শুধু একা একা নয় বরং সম্মিলিতভাবে এক জায়গায় জড়ো হয়ে পবিত্র কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতেও রয়েছে অনেক ছাওয়াব। একত্রে জড়ো হয়ে কুরআন তেলাওয়াত করে কোনো বিষয়ে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার সে প্রার্থনা কবুল করেন।
একত্র হয়ে কুরআন তেলাওয়াতকারীদের মর্যাদা ও ফজিলত বর্ণনায় হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোকেরা আল্লাহর ঘরসমূহের মধ্যে কোনো ঘরে একত্রিত হয়ে কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করে এবং পরস্পরকে দরস প্রদান করে তাদের ওপর-
>> প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়;
>> তাদেরকে রহমত দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়;
>> ফেরেশতারা তাদেরকে পরিবেষ্টন করে নেয় এবং
>> আল্লাহ তাআলা তাঁর নিকটবর্তী ফেরেশতাদের মধ্যে তাদেরকে স্মরণ করেন। (মুসলিম)
সুতরাং উল্লেখিত হাদিসের আলোকে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উচিত, ইজতেমায়ীভাবে কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা। মসজিদে কুরআনুল কারিমের মজলিশ বাস্তবায়ন করা। মসজিদে একত্রিত হয়ে কুরআনের তেলাওয়াত ও নসিহতের ব্যবস্থা করা।
বিশেষ করে-
যখনই মসজিদে কোনো তালিম-তারবিয়ত তথা ইসলামি আলোচনার মজলিশ বসে সেখানে মনোযোগ সহকারে তা শুনা এবং সে আলোচনা হৃদয় দিয়ে অনুভব করায় রয়েছে অনেক উপকারিতা ও ফজিলত। সময় পেলেই মসজিদে কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতে আত্মনিয়োগ করা।
সম্ভব হলে এ হাদিসের ওপর আমল করা-
‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে কুরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’ নিজে কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করার এবং শেখার পাশাপাশি অন্যকে কুরআন শেখানো দায়িত্ব গ্রহণ করা।
মসজিদে অহেতুক কথাবার্তায় নিজেকে নিয়োজিত না করে কুরআন-হাদিসে অধ্যয়নে নিজেদের নিয়োজিত করা।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাকে একাকি বা একত্রিত হয়ে কুরআন তেলাওয়াতের মজলিশ প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত উপকারিতা, ফজিলত ও ছাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন